দু’দিন পরেই কোচবিহার সফরে যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এখানে এসে ডুয়ার্সে আসতে পারেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রী ডুয়ার্সে যেসব জায়গায় যেতে পারেন সেই স্থানগুলি ইতিমধ্যেই পরিদর্শন করেছেন পর্যটনমন্ত্রী গৌতম দেব সহ-প্রশাসনিক আধিকারিকরা। জানা গেছে, ৩ দিনের সফরে ২৯ অক্টোবর অর্থাৎ সোমবার বাগডোগরা হয়ে কোচবিহার পৌঁছবেন তিনি। সেখানে ১৪ কোটি টাকা ব্যয়ে অত্যাধুনিক অডিটোরিয়াম উদ্বোধনের কথা রয়েছে তাঁর। পরদিন মঙ্গলবার কোচবিহারের রাসমেলার মাঠে প্রশাসনিক সভা করে চলে যাবেন ডুয়ার্সে গোরুমারা জাতীয় উদ্যান লাগোয়া টিলাবাড়িতে।
জানা গিয়েছে, প্রশাসনিক সভার পর মুখ্যমন্ত্রী হেলিকপ্টারে চালসার টিয়াবনে আসতে পারেন। সেদিন মুখ্যমন্ত্রী পর্যটন দপ্তরের টিলাবাড়ি টুরিস্ট কমপ্লেক্সে রাতে থাকতে পারেন। সেই জন্য বৃহস্পতিবার টিলাবাড়ি এলাকাও পরিদর্শন করেন মন্ত্রী–আধিকারিকরা। মুখ্যমন্ত্রীর আসার সম্ভাবনার কথা মাথায় রেখে মন্ত্রী গৌতম দেব, উত্তরবঙ্গ পুলিসের আইজি আনন্দ কুমার, জলপাইগুড়ির জেলাশাসক শিল্পা গৌরীসারিয়া, জলপাইগুড়ি রেঞ্জের আইজি কল্লোল গোনাই, পুলিস সুপার অমিতাভ মাইতি সহ-আধিকারিকরা প্রথমে চালসার টিয়াবনের হেলিপ্যাড গ্রাউন্ড পরিদর্শন করেন। এরপর যান নাগরাকাটায়। বুধবার ৩১ অক্টোবর মুখ্যমন্ত্রী ডুয়ার্সের কোনও এক জায়গায় জলপাইগুড়ি ও আলিপুরদুয়ার জেলার প্রশাসনিক বৈঠক করবেন বলে খবর। জলপাইগুড়ির সাংসদ বিজয়কৃষ্ণ বর্মন বলেন, ‘মুখ্যমন্ত্রী ৩১ অক্টোবর জলপাইগুড়িতে একটি অনুষ্ঠানে অংশ নিতে পারেন। তবে সেটি কোথায় হবে, তা নিয়ে সরকারি স্তরে আলোচনা চলছে। শুক্রবার সূচী চূড়ান্ত হতে পারে’।
প্রশাসন সূত্র খবর, এখন সরকারি পুজোর ছুটি চলছে। আজ শুক্রবার, অফিস খুললে সূচী চূড়ান্ত হতে পারে। তবে জলপাইগুড়িতে সভা না হলেও মমতা সম্ভবত ১ নভেম্বর উত্তরকন্যায় পৌঁছে যাবেন। পরদিন বিমানে ফিরবেন কলকাতায়।
জানা গেছে, এই উত্তরবঙ্গ সফরে আদিবাসী নেতাদের সঙ্গে কথা বলতে আগ্রহী মুখ্যমন্ত্রী মমতা। সেজন্য ১ নভেম্বর ট্রাইবাল অ্যাডভাইসারি কাউন্সিলের বৈঠক ডাকা হয়েছে বলে প্রশাসন সূত্রে খবর। উপজাতি উন্নয়নে প্রথম থেকেই বিশেষ উদ্যোগী মমতা। লোকসভা ভোটের আগে ওই বৈঠকের বিশেষ তাৎপর্য আছে বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।