শেয়ার বাজারের হাল শোচনীয়। কখনও শেয়ার সূচক সামান্য উঠছে তো পরক্ষণেই হোঁচট খাচ্ছে ফের। টাকার দামও পড়তে পড়তে একের পর এক রেকর্ড ভাঙছে। তবে শেয়ার ও টাকার এই দূর্যোগের দিনে ‘সোনায় সুহাগা’ খোদ সোনাই।
চাহিদার নিরিখে সোনার কদর যত বাড়ছে, ততই চড়ছে দর। আসলে টাকার নিরিখে ডলারের দাম বাড়ায় বিশ্ব বাজার থেকে সোনা কিনতে হচ্ছে বেশি দামে। তাছাড়া উৎসবের এই মরশুমে বরাবরই সোনার চাহিদা থাকে আকাশছোঁয়া। একইসঙ্গে শুরু হয়ে যায় বিয়ের কেনাকাটাও। সব মিলিয়েই মাথা তুলছে সোনার দর।
বৃহস্পতিবার নয়াদিল্লিতে ১০ গ্রামের দাম ছিল ৩২,৬২৫ টাকা। যা ছ’বছরে সর্বোচ্চ। কলকাতায় পাকা সোনার (২৪ ক্যারাট) দাম ৩২,৩০০ টাকা। ভারত বছরে প্রায় ৮০০ টন সোনা আমদানি করে। টাকার পতনে সেই খরচ বেড়েছে। আজও ১১ পয়সা বেড়ে ডলার হয়েছে ৭৩.২৭ টাকা।
স্বর্ণশিল্প বাঁচাও কমিটির কার্যকরী সভাপতি বাবলু দে জানান, ‘এক বছরে ডলার বেড়েছে প্রায় ৯%। সোনাও এগিয়েছে তাল মিলিয়ে। বছর খানের আগে যে ১০ গ্রাম ২৪ ক্যারাট ছিল ৩০ হাজার টাকার মতো, এখন তা-ই সাড়ে ৩২ হাজারের আশেপাশে।’
অন্যদিকে, অল ইন্ডিয়া জেম অ্যান্ড জুয়েলারি ট্রেড ফেডারেশনের প্রাক্তন চেয়ারম্যান বাছরাজ বামালুয়া অবশ্য দাবি করেন, ‘সোনাকে আসলে বিনিয়োগের নিরাপদ আশ্রয় হিসেবে দেখছেন লগ্নিকারীরা। নানা কারণে পড়ছে শেয়ার বাজার। ফলে অনেকেই ঝুঁকেছেন সোনায়। যা দাম বাড়াচ্ছে ধাতুটির।’
গতকালও ৩৪৪ পয়েন্ট পড়েছে সেনসেক্স। এই অনিশ্চিত মূলধনী বাজারের কারণেই সারা বিশ্বে বাড়ছে সোনার দর। মনে করা হচ্ছে, শেয়ার বাজারের অবস্থা এমন শোচনীয় থাকলে, আরও চড়তে পারে দাম।