আগেই সিবিআইকে ‘বিজেপি ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশন’ বলে কটাক্ষ করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার আরও একধাপ এগিয়ে বিজেপি এবং নরেন্দ্র মোদী সরকারের বিরুদ্ধে দুর্নীতি এবং প্রতিহিংসাপরায়ণতার অভিযোগ তুললেন তিনি। সিবিআই কাণ্ডের প্রেক্ষিতে দিল্লীর পরিস্থিতি নিয়ে সাফ কথা মমতার, ‘বিজেপি দেশ ও দশের বোঝা। ওরা যত দ্রুত সরে যায়, ততই মঙ্গল’।
বিজেপির বিরুদ্ধে বিরোধীদের এক মঞ্চে আনতে ১৯ জানুয়ারি ব্রিগেড সমাবেশের প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছেন মমতা। বিরোধী নেতাদের পাশে দাঁড়িয়ে সেখান থেকেই আনুষ্ঠানিকভাবে লোকসভা নির্বাচনের ঢাক বাজাতে চান তিনি। তার আগে বিজেপি বিরোধী জেহাদ আরও বাড়িয়ে দিলেন মমতা। বললেন, ‘বিজেপি দুর্নীতি করতে সিদ্ধহস্ত। অফিসারদের ভয় দেখিয়ে তাদের দিয়ে অন্যায় কাজ করিয়ে নিতে পারে। নোটবন্দীর নামে নিজেদের তহবিলে টাকা তুলতে পারে। বিভিন্ন প্রশাসনিক সংস্থাকে প্রতিহিংসামূলক কাজে লাগাতে পারে। কিন্তু দেশ চালানোর যোগ্যতা, ক্ষমতা কোনওটাই ওদের নেই’। কেন বিজেপির সরকার চালানোর যোগ্যতা নেই, সেই প্রশ্নে মমতার ব্যাখ্যা, ‘সরকার বলেই তো কিছু নেই। সব চালাচ্ছে দু’জন। একজন সাউথ ব্লকে বসেন অন্যজনে বিজেপি দফতরে। তিনি আবার সুপার গর্ভমেন্ট। দলীয় দফতর থেকে নির্দেশ যায়। সেই অনুয়ায়ী অফিসারেরা ক্ষমতায় আসেন বা সরে যান’।
মুখ্যমন্ত্রীর অভিযোগ, বাংলায় শুধু রাজনৈতিক প্রতিহিংসার জন্যেই সিবিআই বা ইডি-র মতো স্নগস্থাদের কাজে লাগানো হচ্ছে তা নয়, সোশ্যাল নেটওয়ার্কে মোদী সরকারের সমালোচনা করায় তৃণমূলের আইটি সেলের দায়িত্বপ্রাপ্তদের ফোন করে হুমকি দেওয়া হচ্ছে। মমতার কথায়, ‘একের পর এক ঘটনায় প্রমাণ হয়ে যাচ্ছে দেশে এমন প্রতিহিংসা পরায়ন সরকার এর আগে আসেনি’।