দশ দিনের মধ্যে সিবিআই মামলার তদন্ত সম্পূর্ণ করতে হবে। পাশাপাশি সেন্ট্রাল ভিজিল্যান্স কমিশনের করা তদন্ত চলবে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতির নেতৃত্বাধীনেই। এমনই নির্দেশ দিল সুপ্রিম কোর্টে প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈয়ের বেঞ্চ। পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য হয়েছে ১২ নভেম্বর। পাশপাশি, ঘুষকাণ্ডে অভিযুক্ত সিবিআই-এর স্পেশাল ডিরেক্টর রাকেশ আস্থানার আবেদনও এদিন বাতিল করতে দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট।
বুধবার ছুটির নির্দেশ পেয়েই কেন্দ্রের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন সিবিআইয়ের অধিকর্তা অলোক বর্মা। আজ, শুক্রবার ছিল শুনানির দিন। এদিন প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈয়ের বেঞ্চ স্পষ্ট জানিয়ে দেয়, তদন্তে দায়িত্বপ্রাপ্ত সেন্ট্রাল ভিজিল্যান্স কমিশন (সিভিসি)-কে মাত্র ১০ দিনের মধ্যে সম্পূর্ণ করতে হবে তদন্ত। এই তদন্তের তদারকির জন্য সিভিসির মাথার উপর বসানো হল সুপ্রিম কোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি একে পট্টনায়েককে। প্রধান বিচারপতি বলেন, অধিকর্তার পদে বসে রোজকার দায়িত্ব সামলাতে পারবেন এম নাগেশ্বর রাও। তবে, কোনও নীতিগত সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন না তিনি।
রাকেশ আস্থানার বিরুদ্ধে ঘুষকাণ্ডের যে তদন্ত অলোক বর্মার নেতৃত্বে সিবিআই শুরু করেছিল, তার তদন্তকারী অফিসারদের ইতিমধ্যেই আন্দামন-সহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় বদলি করে দেওয়া হয়েছে। এই সমস্ত তথ্য এবং কাগজপত্র সিবিআইকে বন্ধ খামে আদালতে জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান বিচারপতি।কেন্দ্রকে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ, সিবিআই অধিকর্তাদের অদবদল করার সিদ্ধান্তের কারণ জানিয়ে ১২ নভেম্বরে মুখবন্ধ খামে জবাবদিহি করতে হবে।
প্রসঙ্গত, সিবিআই-এর অন্দরে দুর্নীতির অভিযোগ নিয়ে শীর্ষ দুই কর্তার বেনজির দ্বন্দ্বের জেরে গত মঙ্গলবার মাঝরাতে সংস্থার প্রধান অলোক বর্মা এবং স্পেশাল ডিরেক্টর রাকেশ আস্থানাকে ছুটিতে পাঠিয়ে দেয় কেন্দ্র। অন্তর্বর্তীকালীন প্রধানের দায়িত্ব দেওয়া হয় নাগেশ্বর রাওকে। তাঁকে অপসারণের বিরোধিতা করে বুধবারই সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করেছিলেন অলোক বর্মা। কেন্দ্রের বক্তব্য ছিল, যেহেতু সংস্থার প্রধান এবং স্পেশাল ডিরেক্টরের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে, তাই সিভিসি পুরো বিষয়ের তদন্ত করছে। বিরোধীদের অভিযোগ ছিল, মোদীর ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত গুজরাত ক্যাডারের অফিসার আস্থানাকে বাঁচানোর জন্যই সিবিআই প্রধানকে সরানো হয়েছে। পাশাপাশি, আরও একধাপ এগিয়ে বিরোধীরা অভিযোগ করে, রাফাল দুর্নীতির তদন্ত নিয়ে এগোচ্ছিলেন অলোক বর্মা। সেই কারণেই তাঁকে সরানো হয়েছে।