ঘুষ কাণ্ডে অভিযুক্ত সিবিআইয়ের বিশেষ অধিকর্তা রাকেশ আস্থানার বিরুদ্ধে তদন্তকারী অফিসার এ.কে বাসিকে আন্দামানে বদলি করা হয়েছে। সিবিআই এবং কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে এটাকে ‘জনস্বার্থে বদলি’ বলা হলেও তা মানছেন না পাটনার সাহিব কেন্দ্রের সাংসদ বিজেপি সাংসদ শত্রুঘ্ন সিনহা। একটি টুইটে তিনি লিখেছেন, ‘আন্দামান নিকোবর, পোর্ট ব্লেয়ারে এই বদলি আসলে শাস্তি ছাড়া কিছুই নেই। যাকে এখনও কালাপানি বলেই সবাই জানে। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ এবং মার্গ দর্শনের অপেক্ষা করে আছি। জয় হিন্দ’।
ঘর সামলাতে রাকেশ আস্থানা-সহ সিবিআইয়ের প্রাক্তন অধিকর্তা অলোক বর্মাকে ছুটিতে পাঠানো হয়েছে। একের পর এক বিজ্ঞপ্তি জারি করে সিবিআইয়ের তদন্তকারী অফিসারদের গনবদলি করা হয়েছে। গোটা ঘটনায় তোলপাড় দেশ। কেন্দ্রীয় সরকারের এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে মুখ খুলেছেন বিরোধী নেতা-নেত্রীরা। কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্তের কটাক্ষ করে সিবিআই-কে বিজেপি ব্যুরো ইনভেস্টিগেশন বলে কটাক্ষ করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা। সিবিআই-এর নতুন অধিকর্তা নাগেশ্বর রাওয়ের বিরুদ্ধেও দুর্নীতির অভিযোগ তুলেছে কংগ্রেস। সামগ্রিক পদ্ধতি অগণতান্ত্রিক আখ্যা দিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন অলোক বর্মা। দেশের শীর্ষ আদালতও ১০ দিনের মধ্যে তদন্ত শেষ করার নির্দেশ দিয়েছে ভিজিল্যান্স দপ্তরকে। নরেন্দ্র মোদী ঘনিষ্ঠ রাকেশ আস্থানাকে বাঁচাতেই তড়িঘড়ি এই বদলির সিদ্ধান্ত বলে অভিযোগ তুলেছে বিরোধীরা। বিহারীবাবুর এই টুইট বিরোধীদের অভিযোগকেই মান্যতা দিল বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।