এবার থেকে বছরে চারবার রাজ্যের সমস্ত সেতুগুলির স্বাস্থ্য পরীক্ষা বাধ্যতামূলক করল পূর্তদপ্তর। দপ্তরের সমস্ত ডিভিশনকে পাঠানো হয়েছে এই নির্দেশ। স্পষ্ট বলা হয়েছে, ফেব্রুয়ারি, মে, আগস্ট এবং নভেম্বর- এই চারমাসে সরেজমিনে দেখতে হবে সেতুর স্বাস্থ্য।
পূর্ত দপ্তরের প্রধান সচিব অর্ণব রায়ের জারি করা ‘ব্রিজ ইন্সপেকশন অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট’ শীর্ষক বিজ্ঞপ্তি অনুসারে, প্রতি বছরের ফেব্রুয়ারি, মে, আগস্ট এবং নভেম্বর মাসে হবে সেতু নিরীক্ষণের কাজ। এরই সঙ্গে প্রতি বছর একবার করে সংশ্লিষ্ট সেতুগুলির ‘স্বাস্থ্য পরীক্ষা’ করাতে হবে বিশেষজ্ঞ সংস্থাকে দিয়ে।
পূর্ত দপ্তরের নির্দেশানুসারে, প্রতিটি সেতুর জন্য আলাদা করে রেজিস্টার রাখতে হবে ইন্সপেকশন অ্যান্ড মনিটরিং সেলকে। প্রতিটি দুর্বল এবং ক্ষতিগ্রস্ত সেতু পরিদর্শনের ভারও এই সেলের।
পূর্ত দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, দপ্তরের যে যে ডিভিশনের আওতায় রয়েছে সেতুগুলি, তাদেরই তা রক্ষণাবেক্ষণ এবং মেরামতির ভার নিতে হবে।
সেতু নিরীক্ষণে কোনও ত্রুটি নজরে এলে কিংবা জরুরি মেরামতের প্রয়োজন পড়লে, দপ্তরের ব্রিজ ইন্সপেকশন এবং মনিটরিং সেলের কাছে তা জানাতে হবে। বড়সড় মেরামতের দরকার পড়লে তা নিয়ে ব্রিজ সেলের পরামর্শ নিতে হবে। মেরামতির জন্য যান চলাচলে নিয়ন্ত্রণ বা বন্ধ রাখতে হলে, তার পরামর্শও নিতে হবে সেল থেকে।
সূত্র থেকে পাওয়া খবর, সেতু নিরীক্ষণের জন্য জোনাল পর্যায়ে একটি করে তদারকি কমিটি গঠন করা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট জোনের চিফ ইঞ্জিনিয়ার এবং সুপারিনটেন্ডিং ইঞ্জিনিয়ার (পিডব্লুডি) এবং চিফ ইঞ্জিনিয়ার ও সুপারিনটেন্ডিং ইঞ্জিনিয়ার (পিডব্লুডি-রোডস) ওই কমিটিতে থাকবেন। এই কমিটি মাসে একবার করে সংশ্লিষ্ট জোনের সমস্ত সেতু নিরীক্ষণ করবে এবং মেরামতের বিষয়টিও দেখবে।
পাশাপাশি, সেতু নিরীক্ষণ, স্বাস্থ্য পরীক্ষা এবং মেরামতের জন্য তদারকির কাজে রাজ্যস্তরে একটি ‘অ্যাপেক্স কমিটি’ গঠন করা হয়েছে। এই কমিটি প্রতি দু’মাসে একবার করে সেতুর বিষয়গুলি খতিয়ে দেখবে। কমিটির চেয়ারম্যান হবেন ইঞ্জিনিয়ার-ইন-চিফ অ্যান্ড এক্স অফিসো সেক্রেটারি। সদস্য-সচিব হবেন চিফ ইঞ্জিনিয়ার (প্ল্যানিং, রোডস) এবং সদস্য হিসেবে থাকবেন চিফ ইঞ্জিনিয়ার (পিডব্লুডি), হেড কোয়ার্টার এবং চিফ ইঞ্জিনিয়ার (পিডব্লুডি-রোডস), হেড কোয়ার্টার।
মাঝেরহাট সেতু ভাঙার পর তড়িঘড়ি এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকার। নতুন কয়েকটি বেইলি ব্রিজ তৈরির পাশাপাশি, পুরনো সেতুগুলির স্বাস্থ্য ফেরাতেও উদ্যোগী হয়েছে সরকার।