গো-রক্ষার লক্ষ্যে এবার বড়সড় পদক্ষেপ করলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। উৎসবের মরশুমে রাজ্যের প্রায় ১০ হাজার প্রাণীবন্ধুকে মাসিক দেড়হাজার টাকা ভাতা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিল রাজ্য সরকার। নবান্ন কর্তাদের দাবি, এর ফলে রাজ্য জুড়ে গৃহপালিত প্রাণী প্রতিপালন বাড়বে। দুধ, ডিম ও মাংসের উৎপাদন বৃদ্ধি পাবে। নতুন কর্মসংস্থান তৈরি হবে গ্রামাঞ্চলে।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই সিদ্ধান্ত বিজেপির গো-রাজনীতির মুখের ওপর সপাট জবাব। সঙ্গে মমতা বুঝিয়ে দিলেন, তিনি বিজেপির মতো গরু নিয়ে রাজনীতি করেন না, প্রকৃতঅর্থে গো-রক্ষা করেন।
রাজ্যে গো-সম্পদ বাড়ানোর লক্ষ্যে আগেই গ্রামের বেকার যুবক-যুবতীদের প্রাণীবন্ধু হিসাবে নিয়োগ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল রাজ্য সরকার। এরা মূলত গ্রামে গ্রামে গৃহপালিত পশুর চিকিৎসা করেন। সরকারি টীকাকরন কর্মসূচীতেও তাঁরা সক্রিয়ভাবে অংশ নেন। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে এবার সেইসব বেকার যুবক-যুবতীদের মাসিক ভাতা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিল রাজ্য সরকার। ভবিষ্যতে তাঁদের উন্নততর প্রশিক্ষণ দিয়ে স্থায়ী চাকরিতে নিয়োগের চিন্তাভাবনাও রয়েছে প্রাণীসম্পদ উন্নয়ন দপ্তরের। এজন্য প্রানীবন্ধুদের বিশেষ প্রশিক্ষণ দেবে রাজ্য ভেটারিনারি কাউন্সিল।
রাজ্যের প্রাণীসম্পদ উন্নয়ন দপ্তরের মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ বলেন, ‘গ্রামীন বেকার যুবক-যুবতীদের মধ্যে থেকেই প্রাণীবন্ধু, প্রাণীমিত্রা ও প্রাণীসেবী নিয়োগ করা হয়েছে। তাঁদের সবাইকে প্রাণী চিকিৎসার প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। টীকাকরণের জন্য তাঁরা সামান্য কিছু ভাতা পেতেন। স্থায়ী রোজগার ছিল না।মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে এবার থেকে তাঁরা মাসিক দেড় হাজার টাকা ভাতা পাবেন। এতে কাজেও উৎসাহ পাবেন তাঁরা’।