শেষে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দাবি মেনে নিল রেল। নিজেদের ভুল সংশোধন করতে মমতার নির্দেশিত পথে হেঁটে সাঁতরাগাছিতে অতিরিক্ত ফুটব্রিজে তৈরির সিদ্ধান্ত নিল দক্ষিণ-পূর্ব রেল।
সাঁতরাগাছি স্টেশনের ফুটব্রিজে পদপিষ্ট হয়ে ২ জনের মৃত্যু ঘটার পরেই রেলের দায়িত্বজ্ঞানহীনতার দিকে আঙুল তুলেছিলেন নিত্যযাত্রীরা। নতুন ওভারব্রিজের দাবি জানিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বলেছিলেন, ‘আমিও একসময় রেল মন্ত্রী ছিলাম। রেলের তো কোটি কোটি টাকার বাজেট। একটা ফুট ওভারব্রিজ চওড়া করতে, নতুন করে ফুট ওভারব্রিজ-সাবওয়ে তৈরি করতে কত খরচ হয়? খুব তাড়াতাড়ি এখানে আরও একটা ফুট ওভারব্রিজ দরকার’। এবার মমতার কথা মতোই কাজ শুরু করছে রেল।আগামী তিন মাসের মধ্যে ১২ ফুট চওড়া আরও একটি ফুট ওভারব্রিজ চালু করার নির্দেশ দিয়েছেন রেল বোর্ডের চেয়ারম্যান।
বর্তমানে সাঁতরাগাছিতে ৬টি প্ল্যাটফর্ম আছে। দৈনিক এই স্টেশন থেকে ছাড়ছে ও ফিরছে ১১ জোড়া দূরপাল্লার ট্রেন। প্রতিদিন প্রায় ২০০টি লোকাল এই স্টেশনের ওপর দিয়ে চলাচল করা ছাড়াও সপ্তাহে ৭৭টি দূরপাল্লার ট্রেন এই স্টেশনে থামে। ফলে সেখানে যাত্রী–চাপও অনেক বেশি। কিন্তু এক প্ল্যাটফর্ম থেকে অন্য প্ল্যাটফর্মে যেতে এই ৬ প্ল্যাটফর্মের জন্য আছে প্রায় ৫০ বছরের পুরনো ৯ ফুট চওড়া ও ১৩০ ফুট লম্বা একটিমাত্র ফুট ওভারব্রিজ। ব্যস্ত সময়ে একসঙ্গে আসা একাধিক ট্রেনের বিরাট সংখ্যক যাত্রীর জন্য যা কার্যত সঙ্কীর্ণই। তার ওপর আছে শেষ মুহূর্তে ট্রেন আসার ঘোষণা। কোন ট্রেন কোন প্ল্যাটফর্মে আসবে সে কথা আগে জানা না–থাকায় সময় বাঁচাতে যাত্রীদের অনেকেই অপেক্ষা করেন ফুটব্রিজের ওপর। শেষ মুহূর্তে তাই হুড়োহুড়ি পড়ে যায়। ফলে ঘটে যায় দুর্ঘটনা।