মার্কো রয়েসদের কাছে অবিশ্বাস্য জয়। আর ডিয়েগো সিমিওনের চোখে? আর্জেন্টাইন এই কোচ নিশ্চিতভাবেই ভীষণ ব্যথিত। কাল রাতে চ্যাম্পিয়নস লিগে অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদকে ৪-০ গোলে উড়িয়ে দিয়েছে বরুসিয়া ডর্টমুন্ড। দলটির অধিনায়ক রয়েসের চোখে দুর্দান্ত এই জয় ‘অবিশ্বাস্য’। আর অ্যাটলেটিকো কোচ সিমিওনের কাছে এই হার নজিরবিহীন।
প্রথমার্ধে অ্যালেক্স উইটসেলের গোলে এগিয়ে ছিল ডর্টমুন্ড। বিরতির পর ৭৩ থেকে ৮৩—এই ১১ মিনিটের মধ্যে তিন গোল হজম করে বসে অ্যাটলেটিকো। রাফায়েল গুরেইরোর জোড়া গোলের পর ৮৩ মিনিটে শেষ গোলটি ইংলিশ উইঙ্গার জ্যাডন সাঞ্চোর। এ নিয়ে টানা ছয় ম্যাচ জয়ের পথে মাত্র ৫ গোল হজমের বিপরীতে ২৬ গোল করল জার্মান ক্লাবটি। দলের এমন দুর্দান্ত পারফরম্যান্স রয়েসের চোখে, ‘অবিশ্বাস্য, অভাবনীয়। ভাবা যায় না!’
সিমিওনের জন্য অ্যাটলেটিকো কোচ হিসেবে এটি তাঁর সবচেয়ে বড় ব্যবধানের হার। ২০১১ সালে স্প্যানিশ ক্লাবটির কোচের দায়িত্ব নেন এই আর্জেন্টাইন। তাঁর হাতে ইউরোপের অন্যতম সেরা শক্তিতে পরিণত হয়েছে অ্যাটলেটিকো। এ সময়ে লা লিগা ও ইউরোপা লিগ জয়ের সঙ্গে দুইবার চ্যাম্পিয়নস লিগের ফাইনালেও খেলেছে দলটি। লা লিগা টেবিলে এখন তাঁরা পাঁচে আর চ্যাম্পিয়নস লিগে ‘এ’ গ্রুপে দুইয়ে রয়েছে দলটি।
অন্যদিকে টোটেনহ্যাম-ইন্টার মিলান ম্যাচটা উপহার দিয়েছে থ্রিলার। চার গোলের নাটকীয় আর ম্যাচে ড্র করেছে টোটেনহ্যাম। ইংলিশ জায়ান্ট দলটিকে রুখে দিয়েছে পিএসভি আইন্দহোভেন। উত্তেজনার রেণু ছড়ানো ম্যাচের শেষ দিকে আবার লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়লেন টোটেনহ্যামের গোলরক্ষক হুগো লরিস।
৭৯ মিনিটে ১০ জনে নেমে আসা অতিথিদের বিরুদ্ধে সুযোগটা কাজে লাগায় পিএসভি। হারের মুখে থাকা পিএসভি সমতায় ফেরে ৮৭ মিনিটে (২-২)। গোল করেন ডি জং। ২৯ মিনিটে স্বাগতিকদের এগিয়ে দেন লোজানো (১-০)। বিরতির আগেই টোটেনহ্যামকে ম্যাচে ফেরান লুকাস মৌরা (১-১)। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে লন্ডনের ক্লাবটিকে লিড এনে দেন হ্যারি কেন (২-১)।