দেশের সর্বোচ্চ তদন্ত সংস্থাকে ‘স্বচ্ছ’ করার লক্ষ্যে সিবিআইয়ের দুই শীর্ষ কর্তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। অপেক্ষাকৃত তরুণ আধিকারিক নাগেশ্বর রাওকে সংস্থার অন্তর্বর্তীকালীন প্রধান নিয়োগ করা হয়েছে। কিন্তু নাগেশ্বরের কর্মজীবন ঘিরেও একাধিক প্রশ্ন উঠেছে বিভিন্ন সময়। উঠেছে দুর্নীতির অভিযোগও।
তথ্য জানাচ্ছে, ২০১৫ সালে নাগেশ্বর রাও সিবিআইতে যোগ দেন। তখন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার অধিকর্তা ছিলেন অনিল সিনহা। আর সে সময় সংস্থার কাউন্টার ইন্টেলিজেন্স ইউনিটেরর প্রধান ছিলেন অমিতাভ সিং ধিলন। নাগেশ্বর রাও সম্পর্কে একটি রিপোর্ট পেশ করেছিলেন তিনি। সেখানে দুর্নীতির কারণ উল্লেখ করে নাগেশ্বরকে সিবিআইতে অন্তর্ভুক্ত করতে বারণ করেছিলেন অমিতাভ। তবে তৎকালীন অধিকর্তা বা কেন্দ্রীয় সরকার সেই প্রস্তাব শোনেনি। তখন থেকেই কাজ শুরু করেন নাগেশ্বর।
চেন্নাইয়ের একটি নির্মাণ সংস্থা স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার জমি কেনে। সেই জমির লেনদেন বাজারদরের থেকে অনেক কমে হয় বলে ওই রিপোর্টে দাবি করা হয়। এতকিছুর পরও চেন্নাইয়ে ব্যাঙ্কের কাজকর্ম সামলানোর দায়িত্ব পালন করে নাগেশ্বর কোনও ব্যবস্থাই নাকি নেননি। আর এই কারণেই অন্তর্বর্তীকালীন অধিকর্তা হিসেবে নাগেশ্বর রাওয়ের নাম ঘোষণার সমালোচনা করেন ডিএমকে-র নেতা স্টালিন।
এছাড়াও সিবিআইয়ের যুগ্ম অধিকর্তা হিসেবে কাজ করার সময়েও নিরাপত্তা বিষয়ক ক্যাবিনেট কমিটিতেও তাঁর নামে রিপোর্ট জমা পড়ে। সেখানে বলা হয়, একাধিক অভিযোগের ভিত্তিতে গ্রেফতার অস্ত্র ব্যবসায়ী সঞ্জয় ভান্ডারির ডায়েরিতে নাম থাকা ৭০ জন আয়কর অধিকর্তার বিরুদ্ধে শুরু হওয়া তদন্ত বন্ধ করে দিতে চেয়েছিলেন নাগেশ্বর। বিজেপির অভিযোগ, ধৃত ভন্ডারি গান্ধী পরিবারের জামাতা রবার্ট বঢড়ার ঘনিষ্ঠ। পাশাপাশি নিজের আয়করের রিটার্ন জমা দেওয়া নিয়েও অভিযুক্ত হয়েছেন নাগেশ্বর। এর মধ্যে কয়েকটি অভিযোগের কথা টুইট করে জানিয়েছেন প্রবীণ আইনজীবী প্রশান্ত ভূষণ।