সত্যিই যেন ‘মা ফিরে এল’ এবার। প্রায় এক বছর ধরে সংস্কারকার্যের পর নতুন সাজে সেজে উঠল ‘মা ফিরে এল’ গ্যালারি।
গত বছর সংস্কারের কাজ শুরু হওয়ায়, প্রতিমা সংরক্ষণ করা হয়নি তেমন। কিন্তু এ বছর সংস্কারের কাজ প্রায় শেষ। কালীপুজোর পরই সাধারণ মানুষের জন্য এই সুসজ্জিত গ্যালারি খুলে দেওয়া হবে। চলছে শেষ পর্যায়ের কাজ।
পাশাপাশি, গত বছর বন্ধ থাকার পর এবার গ্যালারিতে ঢুকতে চলেছে শহরের বেশ কয়েকটি পুজো কমিটির দুর্গা প্রতিমা। যার মধ্যে রয়েছে বাবুবাগান, বকুলবাগান, দমদম পার্ক তরুণ সঙ্ঘ, হাওড়া জেলার একটি প্রতিমা। আরও কয়েকটি প্রতিমা ঢুকবে বলে জানিয়েছেন গ্যালারি সংস্কারের কাজে তদারকিতে যুক্ত কর্তারা। গতবারের ৭৫ পল্লি এবং চেতলা অগ্রণীর পুজোর প্রতিমা বর্তমানে রয়েছে ওই গ্যালারিতে।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশেই রবীন্দ্র সরোবর স্টেডিয়ামের অদূরে রেললাইন সংলগ্ন গুদাম পরিষ্কার করে এই গ্যালারি তৈরি হয়। প্রায় সাড়ে সাত হাজার বর্গফুটের এই গ্যালারিতে প্রতিটি প্রতিমার জন্য ১৫ ফুট লম্বা এবং ১০ ফুট চওড়া জায়গা বরাদ্দ হয়। এই গ্যালারি সম্পূর্ণভাবে তৈরির পর ২০১২ সালের ১২ নভেম্বর খোদ মমতার হাতেই তা উদ্বোধন হয়েছিল।
গ্যালারিকে সম্পূর্ণ নতুনভাবে সাজিয়ে তোলার কারিগর শিল্পী অনির্বাণ দাস জানান, গ্যালারির ভিতরে এবং বাইরে মিলিয়ে প্রায় ১৫টি প্রতিমাকে যাতে রাখা যায়, তার ব্যবস্থা রাখা হচ্ছে। গ্যালারির ভিতরে সাতটি প্রতিমার মতো জায়গা রাখা হয়েছে। প্রতি বছর ঘুরিয়ে ফিরিয়ে উল্লেখযোগ্য প্রতিমাগুলি রাখা হবে।
সুনিপুণ টেরাকোটার কাজে নবরূপে সেজে উঠেছে এই গ্যালারি। প্রবেশের মুখে রয়েছে টেরাকোটার কাজ দিয়ে তৈরি দু’টি বিশালাকার প্রদীপ। গ্যালারির ভিতরেও টেরাকোটার ছোঁয়া রয়েছে। মূর্তিগুলি সঠিকভাবে সংরক্ষিত রাখতে এসি মেশিনও বসানো হয়েছে। প্রতিটি মূর্তির জন্য থাকবে পৃথক কাচের বাক্স। যেগুলিতে কাঠের গেট লাগানো থাকবে, যাতে ধুলোর আস্তরণ না পড়ে।
পুর ও নগরোন্নয়ন দপ্তরের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম বলেন, এক বছর ধরে ‘মা ফিরে এল’ গ্যালারির সংস্কারের কাজ হয়েছে। কী কী ত্রুটি ছিল, কোথায় কোথায় সংস্কার করলে মানুষের কাছে তা আরও গ্রহণযোগ্য হয়ে উঠবে, সেগুলি নিয়ে পুঙ্খানুপুঙ্খ আলোচনা হয়েছে। তারপর সব কাজ শেষে তা খুলে দেওয়া হচ্ছে সাধারণ দর্শকদের জন্য।