আর মাত্র দু’বছর বাকি। তারপরেই ঐতিহ্যবাহী ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের শতবর্ষ পূর্তি। এর আগেই লাল-হলুদ সমর্থকদের আগাম উপহার ইস্টবেঙ্গলের তথ্যচিত্র। যে তথ্যচিত্র পরিচালনার দায়িত্বে রয়েছেন জাতীয় পুরস্কার প্রাপ্ত পরিচালক গৌতম ঘোষ।
দেশভাগের অন্ধকারের সময়ে কেমন ভাবে জ্বলে উঠেছিল উঠেছিল মশাল? কীভাবে আশার আলো দেখিয়েছিল ইস্টবেঙ্গল? ডার্বির অপরিচিত নায়ক কারা? কারাই বা ট্রাজিক হিরো? পঞ্চপাণ্ডবের সোনার কীর্তি কী ছিল? অনেকেরই অজানা। এই সমস্ত কিছুই জানা যাবে এই তথ্যচিত্র থেকে। পঞ্চপাণ্ডবের সেই সোনার সময় থেকে শুরু করে স্মরণীয় আশিয়ান জয় প্রতিটা পর্বই থাকছে।
কিন্তু ফুটবলের থেকেও তথ্যচিত্রে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হবে সামাজিক ক্ষেত্রে ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের অবদানের কথাকে। দেশভাগের সময় কীভাবে লোকজনদের পাশে দাঁড়িয়েছিল ইস্টবেঙ্গল। মাঠে একটার পর একটা গৌরবগাথা লিখে কীভাবে লাল-হলুদ হয়ে উঠেছিল সাধারণ মানুষদের অনুপ্রেরণার মন্ত্র, সেই বার্তাটাই দেওয়া হবে। আবার ইস্টবেঙ্গলের ইতিহাসের মেঘে ঢাকা তারাদের কথাও জানানো হবে। যে সমস্ত অজানা নায়কদের সম্পর্কে অনেকেই জানেন না।
ইস্টবেঙ্গলের মিডিয়া প্রধান গৌতম রায় বললেন, ‘আমরা চেষ্টা করছি ইস্টবেঙ্গলের সেই সমস্ত কাহিনি বলতে যা আগে কেউ কখনও শোনেননি। অনেক লাল-হলুদ সমর্থক আছেন যাঁরা ক্লাবের অনেক নায়কের সম্পর্কে সবটা জানেন না। তাঁরা ক্লাবের সেই ইতিহাসটাও জানতে পারবেন।’
তথ্যচিত্রের টিমের সঙ্গে যুক্ত থাকা এক সদস্য জানালেন, চূড়ান্ত স্ক্রিপ্ট তৈরি হতে এখনও সময় লাগবে। আগে পুরোদমে চলবে রিসার্চ। প্রায় দেড় মাসের ডেডলাইন দেওয়া হয়েছে সেই গবেষণার। প্রচুর ভিডিও ফুটেজ জোগাড়ের চেষ্টা চলছে। রিসার্চ পর্বের পরে চূড়ান্ত স্ক্রিপ্ট তৈরি করবেন ষোলোবার জাতীয় পুরস্কার জয়ী পরিচালক গৌতম ঘোষ। জানা গেছে, ২০২০-র আগেই মুক্তি পাবে এই ছবি। আপাতত অপেক্ষায় দিন গুনছেন সমর্থকরা।