তাঁর ‘আচ্ছে দিন’-এর অন্ধকারে এবার নিজেই দিশেহারা দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। বিরোধীদের করা একের পর এক দুর্নীতির অভিযোগে টালমাটাল কেন্দ্র সরকার। রাফাল দুর্নীতির পর এবার ফের পিএনবি দুর্নীতি নিয়ে বিস্ফোরক অভিযোগ করলেন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী।
রাহুলের অভিযোগ বিদেশে পালানোর আগে অরুণ জেটলির মেয়ের অ্যাকাউন্টে ২৪ লক্ষ টাকা জমা দিয়েছিলেন মেহুল চোকসি। সেই টাকা নাকি চোকসি বিদেশে পালানোর পর ফেরত দেন জেটলির মেয়ে।
এর আগে সাংবাদিক বৈঠক করে এই একই অভিযোগ করেছিলেন আরেক কংগ্রেস নেতা শচীন পাইলট। পাইলটের দাবি ছিল এবছর ২০ ফেব্রুয়ারি অরুণ জেটলির মেয়ে সোনালি জেটলি এবং জামাই জয়েশ বক্সির আইনি সহায়তা প্রদানকারী সংস্থার অ্যাকাউন্টে ২৪ লক্ষ টাকা জমা করিয়েছিলেন মেহুল চোকসি। এরপরই ৪ ফেব্রুয়ারি পালিয়ে যান চোকসি। চোকসির বিদেশ পালানোর খবর পাওয়ার পর চাপে পড়ে সেই টাকা আবার চোকসির অ্যাকাউন্টে ফেরত দিতে বাধ্য হন জেটলির মেয়ে এবং জামাতা।
পাইলট প্রশ্ন তোলেন, জেটলির মেয়ে চোকসির কোনও কাজই করতেন না, তাহলে কেন চোকসি জেটলির মেয়েকে এত বড় অঙ্কের টাকা দিতে গেল? এই পরিমাণ টাকা অ্যাকাউন্টে ট্রান্সফার করা হলেও এখনও কেন অর্থমন্ত্রী তথা তাঁর মেয়ে-জামাইকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে না?
শচীন পাইলটের অভিযোগ, চোকসিরা দেশ ছেড়ে পালিয়ে যেতে পারেন একথা ভালমতোই জানতেন অরুণ জেটলি, এমনকি প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর ও ইডিও একথা আন্দাজ করতে পেরেছিল তা সত্ত্বেও কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। এমন একাধিক অভিযোগ তুলে অর্থমন্ত্রীর পদত্যাগও দাবি করেছে রাহুল গান্ধীর দল।
শুধু কংগ্রেসই নয়, সমস্ত বিরোধী দলগুলিই মোদীর বিরুদ্ধে সোচ্চার। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বরাবরই দেশের অন্যতম মোদী বিরোধী মুখ। তিনিও বহুদিন আগেই পিএনবি কান্ডে কেন্দ্র সরকারের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন। তারপর থেকে ক্রমাগত তিনি আক্রমণ শানিয়ে গিয়েছেন বিজেপি সরকারের প্রতিটি দুর্নীতির বিরুদ্ধেই। এবার যেন তাঁর সেই আশংকাই সত্যি হল।