সিবিআই-তে ‘গ্যাং ওয়ার’!
দুই শীর্ষ কর্তার লড়াই প্রকাশ্যে এসেছে আগেই। নিজেদের অফিসার রাকেশ আস্থানার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগে এফআইআর করেছে খোদ সিবিআই-ই। এবার নিজেদের ডেপুটি সুপার মর্যাদার কর্তা দেবেন্দ্র কুমারকে ওই একই দুর্নীতির অভিযোগে গ্রেপ্তার করল তারা।
নাটকীয় ঘটনা ঘটল দেবেন্দ্র কুমারের গ্রেপ্তারির পর। সিবিআই দফতরে তল্লাশি চালালেন সিবিআই-এর অফিসাররাই। যে সব অফিসার রাকেশ আস্থানার ঘনিষ্ঠ ছিলেন অলোক ভার্মার নির্দেশে তাঁদের টেবিলে, দেরাজে কাগজপত্র, দস্তাবেজ ঘেঁটে দেখেন কয়েকজন দুঁদে সিবিআইয়ের কর্তা। পরিস্থিতি বেগতিক বুঝে সিবিআইয়ের ডিরেক্টর অলোক বর্মা এবং স্পেশ্যাল ডিরেক্টর রাকেশ আস্থানাকে নিজের অফিসে ডেকে পাঠালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী স্বয়ং। কিন্তু তারপরেও অবস্থার বিন্দুমাত্র উন্নতি হয়নি।
ওয়াকিবহাল মহলের মতে, সিবিআই-তে যা চলছে সেটা কার্যত ‘গ্যাং ওয়ার’। আর গোটা ঘটনায় আঙুল উঠছে মোদী সরকারের বিরুদ্ধে। কারণ, নয়াদিল্লির ক্ষমতার করিডরে রাকেশ আস্থানা প্রধানমন্ত্রীর আস্থাভাজন বলেই পরিচিত। গুজরাত ক্যাডারের এই পুলিশ কর্তার সিবিআই-তে নিয়োগও হয়েছে মোদী জমানাতেই। তাই আস্থানা-বিতর্কে স্বাভাবিক ভাবেই উঠছে প্রধানমন্ত্রীর নাম। রাহুল গান্ধীও এদিন কটাক্ষ করে টুইটে লেখেন ‘দ্য পিএম ব্লু-আইড বয়’।
প্রসঙ্গত, সিবিআইয়ের স্পেশ্যাল ডিরেক্টর রাকেশ আস্থানার বিরুদ্ধে ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ ওঠে। এফআইআরও করে সিবিআই। তদন্তে নেমে দেবেন্দ্র কুমার নামে এক সিবিআই অফিসারকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ওই অফিসার রাকেশ আস্থানার অধীনে কাজ করতেন। মিথ্যে বয়ান দেওয়ায় দেবেন্দ্রকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। সতীশ সানা নামে হায়দরাবাদের এক ব্যবসায়ী অভিযোগ করেন মাংস রপ্তানিকারী মঈন কুরেশির দুর্নীতি তদন্তে ৫ কোটি টাকার ঘুষ চেয়েছিলেন রাকেশ আস্থানা। ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে সতীশ আরও জানিয়েছেন, তাঁকে মোট ২ কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে। এই কাণ্ডে র’-এর প্রাক্তন অফিসারের ছেলে সোমেশের নামও জড়িয়েছে। খতিয়ে দেখা হচ্ছে র’ অফিসারদের ভূমিকাও।