পুজোর আগে থেকেই উন্মাদনা ছিল তুঙ্গে। আগামীকাল, মঙ্গলবারই হবে রাজ্যবাসীর বহু প্রতীক্ষিত সেই দুর্গা কার্নিভাল। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্বপ্নের কার্নিভালের তৃতীয় বছরের অনুষ্ঠান ঘিরে, ইতিমধ্যেই জোরদার করা হয়েছে নিরাপত্তা ব্যবস্থা।
এ বছর বহু বিদেশি পর্যটক আসবেন। বিভিন্ন দূতাবাস থেকেও কার্নিভাল দেখতে চেয়ে অনুরোধ এসেছে। পাসও চেয়েছেন তাঁরা। স্বভাবতই পুজোর শেষে ‘অন্য পুজো’ দেখা ঘিরে আগ্রহ বাড়ছে মানুষের মনে।
রেড রোডের দু’পাশেই সুন্দর করে সাজিয়ে তোলা হচ্ছে মঞ্চ। বসানো হচ্ছে সিসিটিভি। কলকাতা পুলিশের ডগ স্কোয়াড এবং অ্যান্টি সাবোটাজ বাহিনীর কর্মীরা রাস্তার যে অংশে কার্নিভাল হবে, সেখানে ঘনঘন নিরাপত্তা দেখছেন। বস্তুত, গোটা রেড রোডই চলে এসেছে সুরক্ষাবলয়ে।
জানা গেছে, প্রায় ২০০০ পুলিশকর্মী কার্নিভালের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকবেন। পর্যটন দপ্তর থেকে এ বছরই প্রথম ‘এগজিকিউটিভ ক্লাস’–এর জন্য ঠাকুর দেখা, অভিজাত রেস্তোরাঁয় খাওয়া, বনেদি বাড়ির পুজো উপভোগ করার ব্যবস্থা হয়েছিল। এই প্যাকেজের সঙ্গেই রয়েছে কার্নিভাল দেখার বিশেষ ছাড়পত্র।
রেড রোডের দু’পাশে এবার ২০ হাজার দর্শক দেখবেন কার্নিভাল। এছাড়াও বিদেশি পর্যটকদের জন্য ১৫০০ আসনের সংরক্ষণ রাখা হয়েছে। ৭৫টি পুজো কমিটি অংশ নিচ্ছে। রাজবাড়ির অলিন্দের আদলে তৈরি হয়েছে মূল মঞ্চ। এখানে মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি–সহ মন্ত্রিসভার সদস্যরা বসবেন। মঞ্চে প্রায় ৯০ জনের বসার ব্যবস্থা থাকছে। ভিআইপিদের জন্য আলাদা মঞ্চের ব্যবস্থা হয়েছে। আলোয় সাজিয়ে তোলা হয়েছে রেড রোড। থাকবে জায়ান্ট স্ক্রিন। টিভিতে সম্প্রচার হবে সরাসরি।
তাই কার্নিভাল ঘিরে যাতে কোনও অবাঞ্ছিত ঘটনা না ঘটে, সে জন্য স্পেশাল টাস্ক ফোর্স এবং গোয়েন্দা পুলিশের একটি বিশেষ দল রেড রোডের দু’পাশে নজরদারি চালাবে। প্রতিটি পুজো কমিটি দেড় মিনিট করে সময় পাবেন। আগে থেকেই প্রতিটি পুজো কমিটিকে বলা হয়েছে, তারা নির্দিষ্ট সময়ের আগে প্রতিমা এবং যাঁরা যাঁরা অনুষ্ঠানে অংশ নিচ্ছেন, তাঁদের তৈরি থাকতে। শোভাযাত্রা শুরু হলেই প্রতিটি প্রতিমা নিয়ে সংশ্লিষ্ট পুজো কমিটির সদস্যরা গঙ্গার দিকে চলে যাবেন, যাতে কোনও ধরনের বিশৃঙ্খলা না হয়।
আজ, সোমবার থেকেই কার্নিভাল উপলক্ষে রেড রোডে যান নিয়ন্ত্রণ শুরু হবে। কার্নিভাল শেষ হয়ে গেলে মঙ্গলবার রাত থেকেই ফের রেড রোড খুলে দেওয়া হবে। যান চলাচলও স্বাভাবিক হয়ে যাবে।