কয়েক মাস আগেও তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি চলেছিল৷ সেবার প্রাণে বেঁচে গিয়েছিলেন৷ কিন্তু, এবার আর হল না৷ দুর্গাপুরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে মারা গেলেন শাসকদলের বীরভূমের খয়রাশোলে ব্লক সভাপতি দীপক ঘোষ৷ এদিকে এই ঘটনায় অভিযুক্তদের ধরতে রবিবার রাতভর খয়রাশোলে অভিযান চালাল পুলিশ৷ আটক করা হয়েছে ৫ জনকে৷ অভিযোগের আঙুল উঠেছে বিজেপির দিকে।
খয়রাশোলের হিংলো নদীর চরে শাসকদলের ব্লক সভাপতি দীপক ঘোষকে লক্ষ্য করে গুলি চালায় দুষ্কৃতীরা৷ গ্রামের বাড়ি থেকে বাইকে চেপে খয়রাশোলে ফিরছিলেন তিনি৷ প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, দীপকবাবুর কোমর ও চোয়ালে গুলি লাগে৷ বাইক থেকে পড়ে যান তিনি৷ কিন্তু, তাতেও রেহাই মেলেনি৷ গুলিবিদ্ধ অবস্থায় ধারালো অস্ত্র দিয়ে দীপক ঘোষকে এলোপাথাড়ি কোপ মেরে চম্পট দেয় দুষ্কৃতীরা৷ তাঁকে উদ্ধার করে প্রথমে নিয়ে যাওয়া হয় স্থানীয় একটি স্বাস্থ্যকেন্দ্রে৷ পরে স্থানান্তরিত করা হয় দুর্গাপুরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে৷ শাসকদলের নেতার শারীরিক অবস্থা আশঙ্কাজনক ছিল৷ সোমবার সকালে হাসপাতালে মারা যান তৃণমূলের খয়রাশোলের ব্লক সভাপতি দীপক ঘোষ৷
অনুব্রত জানিয়েছেন, দীপক খুব ভালো সংগঠক। খয়রাশোল এলাকায় বিজেপির কোনও সংগঠন নেই। যারা আগে বিজেপি করতেন তাঁরা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়নে সামিল হয়েছেন। তাই বিজেপি বাইরে থেকে দুষ্কৃতী নিয়ে এসে বারবার দীপকের ওপর হামলা চালাচ্ছে। এবারে বিজেপির পোষা গুণ্ডারা মেরেই ফেলল দীপককে।
পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম বলেন, এটা সম্ভবত বহিরাগতদের কাজ। বিজেপি যখন রাজনৈতিকভাবে মোকাবিলা করতে পারছে না তখন গুজরাত সহ দেশের অন্যান্য জায়গায় যেভাবে দাঙ্গা করেছে তা এরাজ্যেও আমদানি করছে। যতদূর খবর পেয়েছি তাতে আসানসোল কিম্বা ঝাড়খণ্ড থেকে লোক খয়রাশোলে এসেছিল। আমাদের সংগঠকদের হত্যা করে বিজেপি পায়ের তলার মাটি শক্ত করার চেষ্টা করছে।