অবশেষে নতুন সিম বিক্রির ক্ষেত্রে আধার তথ্যের বাধ্যতামূলক ব্যবহার বন্ধ হল। আধার কর্তৃপক্ষ (ইউআইডিএআই) ও টেলিকম দফতর (ডট) আশ্বাস দিয়েছে, গ্রাহক চাইলে তাঁর মোবাইল নম্বর থেকে আধার বিচ্ছিন্ন করার আর্জিও জানাতে পারবেন সংশ্লিষ্ট টেলিকম সংস্থাকে।
টেলিকম সংস্থাগুলির সংগঠন সিওএআইয়ের ডিজি রাজন এস ম্যাথুজ বলেন, ‘গ্রাহক টেলি সংস্থার কাছে আবেদন জানালে তাঁর মোবাইল নম্বরের গ্রাহক-পঞ্জি থেকে আধার তথ্য (নতুন বা পুরানো, যে কোনও সিম) মুছে ফেলা হবে। তবে পরিচয় ও ঠিকানা যাচাইয়ের জন্য ডট স্বীকৃত বিকল্প নথি (ভোটার কার্ড, পাসপোর্ট ইত্যাদি) দিতে হবে তাঁকে।
কিন্তু যাঁরা আগেই সেই সব নথি জমা দিয়ে সিম কিনেছিলেন এবং পরে সেই সিমের সঙ্গে আধার যুক্ত করেছিলেন, আধার মুছতে চাইলে তাঁদেরও কেন ফের নথি দিতে হবে? ম্যাথুজ বলেন, ‘কারণ, আধার সংযোগের পরে গ্রাহকের পুরনো নথির তথ্য আর সংশ্লিষ্ট সংস্থার কাছে নেই। এখন আধার তথ্যও মুছে দিলে নতুন নথির প্রয়োজন হবে’। আর নতুন সিমের ক্রেতাদের ক্ষেত্রে শুধু আধার তথ্যই থাকায় তা মুছে দিলে স্বাভাবিক ভাবেই নতুন করে স্বীকৃত নথির প্রয়োজন হবে।
ইতিমধ্যেই টেলিকম সংস্থাগুলিকে এই ব্যাপারে প্রয়োজনীয় নির্দেশ পাঠিয়েছে ডট। সংশ্লিষ্ট সূত্রের খবর, শীঘ্রই সেই সুবিধা পাবেন গ্রাহকেরা। এ দিকে, সম্প্রতি জল্পনা ছড়িয়েছিল, যে সমস্ত মোবাইলের সঙ্গে ইতিমধ্যেই আধার তথ্য যুক্ত করা রয়েছে সেগুলির সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যেতে পারে। কিন্তু বিষয়টি নিয়ে গ্রাহকদের আশ্বস্ত করার চেষ্টা করেছে ইউআইডিএআই এবং ডট। যৌথ বিবৃতি দিয়ে তারা জানিয়েছে, এই ধরনের প্রচার সম্পূর্ণ অমূলক। মোবাইল পরিষেবা বন্ধ হওয়ার কোনও সম্ভাবনা নেই। এ দিন এ ব্যাপারে ম্যাথুজও জানিয়েছেন, যাঁরা আধার তথ্য মুছে নতুন নথি দেবেন, তাঁদের সেই নথি যাচাই করতে কিছুটা সময় লাগতে পারে। তবে সে জন্য পরিষেবা বন্ধ হবে না। উল্লেখ্য, প্রায় ৫০ কোটি সিমে ইতিমধ্যেই আধার তথ্য যাচাই হয়েছে। যা সারা দেশে মোবাইল সংযোগের প্রায় অর্ধেক।