আগামী মাস থেকে শুরু হবে পাঁচ রাজ্যে বিধানসভা ভোট। লোকসভা ভোটের আগে এই নির্বাচনকে ধরে নেওয়া হচ্ছে সেমিফাইনাল। আর তাতে প্রচার কিংবা জনপ্রিয়তা, প্রতিটি ক্ষেত্রেই বিজেপি কিছুটা ব্যাকফুটে।প্রায় সিংহভাগ জনমত সমীক্ষার পূর্বাভাসই পিছিয়ে রেখেছে বিজেপিকে। মধ্যপ্রদেশের শিবরাজ সিং চৌহান কিংবা রাজস্থানের বসুন্ধরা রাজে সিন্ধিয়ার মতো মুখ্যমন্ত্রীদের ব্যক্তিগত ভাবমূর্তিও যথেষ্ট নড়বড়ে। আর সমীক্ষার ফল মিলিয়ে দিয়ে বিজেপি পরাজিত হলে সেটি কোনও বিক্ষিপ্ত ঘটনা হবে না। বরং লোকসভা ভোটেও তার প্রভাব পড়ার সম্ভাবনা থাকছে পুরোমাত্রায়। এটাই এখন বিজেপির সবচেয়ে বড় মাথাব্যথা।
আশ্চর্য মলমের সন্ধানে বিজেপি ফিরে গেছে নরেন্দ্র মোদীর চিরাচরিত পুরনো ফর্মুলায়। রাজস্থানে ১৬০ জন জয়ী বিধায়কের মধ্যে সিংহভাগই এবার সম্ভবত প্রার্থী হতে পারবেন না। টিকিট দেওয়া হবে সম্পূর্ণ নতুন মুখেদের। কারণ পুরানো বিধায়কদের বিরুদ্ধে মানুষের ক্ষোভ বিক্ষোভ রয়েছে। তা সামাল দিতে আগেভাগেই যদি তাঁদের সরিয়ে দেওয়ার বার্তা দেওয়া যায়, তাহলে ভোটারদের বলা যাবে জনতার ক্ষোভের কথা মাথায় রেখে অযোগ্য বিধায়কদের টিকিট দেওয়া হয়নি। গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে নরেন্দ্র মোদী এই মডেল অনুসরণ করেছিলেন একাধিকবার। সুফলও পেয়েছেন। তাই এবার রাজস্থানেও প্রায় ৮০ থেকে ১০০ বিজেপি বিধায়ক টিকিট পাবেন না। পাশাপাশি বসুন্ধরা রাজে সিন্ধিয়াকে সতর্ক করে বলা হয়েছে তাঁর বিরোধী গোষ্ঠী বলে পরিচিতদের সমান মর্যাদায় টিকিট দিতে হবে।
তবে মধ্যেপ্রদেশের শিবরাজ সিং চৌহানের উপর বিজেপি কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের আস্থা এতই তলানিতে ঠেকেছে যে তাঁকে কেন্দ্র বদল করতেও পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। ছত্তিশগড়ে পরিস্থিতি সামান্য ভালো বলে মনে করছে কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। তবে ওই রাজ্যে মাত্র ৯০ টি আসনের মধ্যে জয় পরাজয়ের হিসাব নির্ধারিত হয় সর্বদাই খুবই সামান্য ব্যবধানে। সুতরাং ওই রাজ্যে কখনওই নিশ্চিতভাবে বলা যায় না কোন দল জয়ী হবে। তাই সব মিলিয়ে বিপাকে নরেন্দ্র মোদী সরকার। বিপুল ব্যবধানে জেতা দূর অস্ত, সরকার টিকিয়ে রাখাই এখন তাদের কাছে চ্যালেঞ্জ।