প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ফ্রাসোয়া ওল্যাদের পর এবার রাফাল নিয়ে তোপ দাগলেন ড্যাসল্টের এক শীর্ষ কর্তা। মোদীর অস্বস্তি বাড়িয়ে ওল্যাদের সুরেই সুর মিলিয়ে তিনি দাবি করেছেন, রিলায়েন্সের সঙ্গে গাঁটছড়া না বাঁধলে রাফাল চুক্তিই হতো না। এমন মন্তব্যের জেরে নতুন করে বেকায়দায় পড়ল মোদীর সরকার। তার ওপর এমন পরিস্থিতির মধ্যেই প্রতিরক্ষামন্ত্রী নির্মলা সীতারামন তিনদিনের সফরে ফ্রান্সে যাওয়ায় অন্য মাত্রা নিল রাফাল যুদ্ধবিমান বিতর্ক। কারণ, এই সফরের অন্যতম উদ্দেশ্যই ফ্রান্সের প্রতিরক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক এবং রাফাল চুক্তি নিয়ে বিশেষ আলোচনা।
এসবের মধ্যেই নতুন করে বোমা ফাটিয়েছে ফরাসি সংবাদমাধ্যম সংস্থা ‘মিডিয়াপার্ট’। ওই সংস্থার ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে, রাফাল প্রস্তুতকারী সংস্থা ডাসল্টের অন্যতম কর্তা একটি বৈঠকের মধ্যেই জানিয়েছিলেন, ওই চুক্তিতে অনিল আম্বানির রিলায়েন্স সংস্থাকে বাছাই না করে আর কোনও উপায় ছিল না। কারণ গোটা চুক্তির অন্যতম বাণিজ্যিক শর্ত ছিল যে, যৌথ উৎপাদনকারী সংস্থা হিসেবে আম্বানির কোম্পানিকেই ভারত থেকে নিতে হবে। সংস্থার ডেপুটি চিফ এগজিকিউটিভ অফিসার ল্যক সেলগেন প্রতিনিধিস্তরের বৈঠকে বলেন, রিলায়েন্সকে নেওয়া আমাদের ডিলের প্রধান বাধ্যবাধকতা ছিল। আমরা যদি ওই শর্ত না মানতাম, তাহলে রাফাল কন্ট্রাক্ট হাতেই পেতাম না। উল্লেখ্য, ঠিক এই কথাটাই ফ্রান্সের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ফ্রাসোয়া ওলান্দে বলেছিলেন। এই সংবাদমাধ্যমেরই সাক্ষাৎকারে ওলান্দে বলেছিলেন, অনিল আম্বানির সংস্থাকে কন্ট্রাক্ট দেওয়া ছাড়া আমাদের সামনে কোনও বিকল্প ছিল না। কারণ ভারত সরকারই প্রস্তাব করেছিল ওই সংস্থার নাম।
এই নিয়ে মুখ খুলেছেন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী। তাঁর কথায়, ‘মোদি সরকার ভয় পেয়েছে। তাই নির্মলা সীতারামন কেলেঙ্কারি ধামাচাপা দিতে এবং গোপন ডিল যাতে প্রকাশ্যে না আসে তা ঠিক করতেই রাফালের অফিসে ছুটেছেন’। রাহুল গান্ধীর আক্রমণ এবং অন্যদিকে একের পর এক নতুন তথ্য সামনে আসার যোগফলে বিজেপিও যথেষ্ট ব্যাকফুটে। কারণ সামনেই পাঁচ রাজ্যের নির্বাচন। সেখানে ক্রমেই রাফাল চুক্তি বড়সড় ইস্যুতে পরিণত হতে চলেছে।