পুজোর মুখে চোখ রাঙাচ্ছে ঘূর্ণাসুর, ‘তিতলি’। আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, তিতলি থাবা বসাবে উড়িষ্যা উপকূলে। যার জেরে বৃষ্টি হতে পারে বাংলাতেও।
গত কয়েকদিন ধরেই ‘তিতলি’কে নিয়ে বিভিন্ন পোস্টে ছেয়ে গেছে সোশ্যাল মিডিয়া। প্রশ্ন উঠেছে, কেন দেওয়া হল ‘তিতলি’ নাম? কারাই বা রাখল এমন নাম? ঘূর্ণিঝড় ‘তিতলি’কে নিয়ে পাঠকদের যাবতীয় কৌতূহল নিরসন করছে ‘এখন খবর’।
তিতলি হিন্দি শব্দ। অর্থ প্রজাপতি। তবে অর্থ সুন্দর হলেও ঘূর্ণিঝড় তিতলি সুন্দর নয় মোটেই। উল্টে একটু বেশি মাত্রায় ভয়ঙ্কর। ঘূর্ণিঝড়ের ‘তিতলি’ নাম দিয়েছে পাকিস্তান। তাদের কে দিল এই নাম দেওয়ার অধিকার?
ঘূর্ণিঝড়ের নামকরণের ক্ষেত্রে প্রত্যেক দেশের পাঠানো নামের তালিকা থেকে পর্যায়ক্রমে নামকরণ করা হয়। বিভিন্ন অঞ্চলের ঝড়ের নাম চূড়ান্ত করার দায়িত্বটি বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থার ভিন্ন ভিন্ন প্যানেলের হাতে ন্যস্ত থাকে। যেমন উত্তর ভারত মহাসাগরে সৃষ্ট ঝড়গুলোর নামকরণের দায়িত্ব ভারতের আবহাওয়া অধিদফতরের। এক্ষেত্রে এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের আট দেশ- বাংলাদেশ, ভারত, মালদ্বীপ, মায়ানমার, ওমান, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা এবং থাইল্যান্ড থেকে আরব সাগর এবং বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড়ের নাম প্রস্তাব করা হয়। প্রতিটি দেশের আটটি করে প্রস্তাবিত নাম নিয়ে ভারতের আবহাওয়া অধিদফতরে বৈঠকের মাধ্যমে মোট ৬৪টি নামের তালিকা তৈরি হয়। আর সেই তালিকা অনুযায়ীই পর্যায়ক্রমে ঝড়ের নামকরণ হয়। যখন যার ভাগে পড়ে তখন সেই দেশ নাম দেয়। এবারে পাকিস্তানের ভাগে পড়েছে। সেকারণেই হিন্দি শব্দ তিতলি নামে নামকরণ করা হয়েছে বঙ্গোপসাগরের এই ঘূর্ণিঝড়ের।
রাষ্ট্রপুঞ্জের বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থা নিয়মিত এই নামকরণের চক্রটিতে নজরদারি চালায়। কাজেই ফাঁকি দেওয়ার কোনও উপায় নেই। আবার কোনও দেশ নাম দেবে বলে জোর করে বলতেও পারবে না।