ভেসে চলে ‘এমভি সুন্দরিনী’। যাত্রী পরিষেবার সঙ্গে সঙ্গে, পণ্যবাহী ট্রাক, বাস, বাইক এবং ছোট গাড়ি পারাপারের জন্য এমভি সুন্দরিনী জলে ভাসালেন রাজ্যের পরিবহণমন্ত্রী।
মঙ্গলবার মিলেনিয়াম পার্কে ১৫টি উন্নতমানের জলযান ও ২০টি জলধারা প্রকল্পের নৌকো উদ্বোধন করেন তিনি। অনুষ্ঠানে মন্ত্রী ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন শালিমার ওয়ার্কসের চেয়ারম্যান অরুণ সেনগুপ্ত, বিধায়ক স্বর্ণকমল সাহা, রচপাল সিং, প্রবীর ঘোষাল, শামিমা শেখ, দেবব্রত দাস, নয়না বন্দ্যোপাধ্যায়, অজয় দে, দীনেশ বাজাজ, পরিবহণ নিগমের অধিকর্তা নারায়ণ নিগম প্রমুখ।
মন্ত্রী বলেন, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নদীপথকে আরও গতিশীল করে তুলেছেন। একটি ইঞ্জিনিয়ারিং সেল তৈরি করা হয়েছে। ‘জলধারা’ ও ‘জলসাথী’ প্রকল্প ইতিমধ্যেই চালু হয়ে গেছে। এবার সংস্কার করা হবে রাজ্যের জেটিগুলি। প্রথম ধাপে রাজ্যের সব থেকে ব্যস্ত ২৪টি জেটিতে সংস্কার করা হবে। ডিসেম্বরের মধ্যে এই কাজ শেষ হবে। ভবিষ্যতে সবমিলিয়ে ১০৪টি জেটিতে এই কাজ করা হবে।
এদিকে, বিনা টিকিটের যাত্রীদের রুখতে মেট্রো স্টেশনের মত এবার লঞ্চ ঘাটেও চালু হলো স্বয়ংক্রিয় গেট। মেট্রোর মতই টিকিট কাউন্টার থেকে একটু দূরে বসানো হয়েছে মেশিন। যাত্রীরা টোকেন ছোঁয়ালে তবেই খুলবে এই গেট। একইসঙ্গে কতজন যাত্রী পারাপার হচ্ছেন সেই ছবিও কম্পিউটারে ফুটে উঠবে। এটি ওয়েবেল তৈরি করেছে। গতকাল মিলেনিয়াম পার্কের জেটিতেই পরীক্ষামূলকভাবে এই ব্যবস্থা চালু করলো রাজ্য পরিবহণ দফতর।
শুভেন্দুবাবু বলেন, ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রেল মন্ত্রী থাকার সময় মেট্রোতে এই ধরনের স্বয়ংক্রিয় গেট চালু করেছিলেন। এই গেট থাকলে কোনো যাত্রী টোকেন না কেটে লঞ্চে উঠতে পারবেন না। ফলে আর্থিক ক্ষতি কমবে। আমরা একমাস দেখব এখানে কেমন সাড়া পাওয়া যায়। ভাল সাড়া পেলে কলকাতার বাকি ঘাট গুলিতেও এই গেট বসানো হবে।’
সরকারি বাস, ট্রাম, লঞ্চ এবং মেট্রোর জন্য একই কার্ড চালু করতে চায় পরিবহন দফতর। সেই কার্ড চালু হলে সব লঞ্চ ঘাটেই এই গেট বসবে। মেট্রোর স্মার্ট কার্ডের মতো একটি কার্ড থাকলেই তখন সহজে সরকারি বাস, ট্রাম, লঞ্চ এবং মেট্রোয় চড়তে পারবেন যাত্রীরা। সেই কাজ অনেকটাই এগিয়েছে বলে খবর।
গতকালের অনুষ্ঠানে ছিলেন বিশ্ব ব্যাঙ্কের প্রতিনিধিরাও। শুভেন্দুবাবু জানান, হলদিয়া থেকে ফরাক্কা পর্যন্ত জলযানকে আরও উন্নত করতে বিভিন্ন প্রকল্পে ৩ হাজার কোটি টাকা দেবে বিশ্ব ব্যাঙ্ক। প্রথম পর্যায়ে কাজ শুরু হবে হলদিয়া থেকে গুপ্তিপাড়া পর্যন্ত। এটি জাতীয় সড়কের বিকল্প হিসাবে ব্যবহার করা হবে। শীঘ্রই এই প্রকল্পের কাজ শুরু হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।