একা উষ্ণায়নে রক্ষে নেই, দূষণ দোসর। বিশ্ব উষ্ণায়নের ফলে একেই নাজেহাল অবস্থা বিশ্ববাসীর। তার সাথে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে পরিবেশ দূষণ। এই সাঁড়াশি চাপে বিপদের আশঙ্কা দিন দিন বেড়েই চলেছে। আর তাতেই উদ্বিগ্ন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।মঙ্গলবার নবান্নে মন্ত্রিসভার বৈঠকে এ নিয়ে মুখ্য সচিবের নেতৃত্বে একটি বিশেষজ্ঞ কমিটিও গড়ে দিলেন তিনি।
গতকালের বৈঠকে রাজ্যের বিভিন্ন বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনার মধ্যে সাম্প্রতিক বিশ্ব জুড়ে এই গ্লোবাল ওয়ার্মিং-এর প্রসঙ্গও ওঠে। চিন্তিত মমতা বলেন, ‘যত দ্রুত সম্ভব, উপায় বের করতে হবে। না হলে কী করে এর সমাধান হবে।’
প্রসঙ্গত, সোমবারই রাষ্ট্রপুঞ্জের ‘ইন্টারগভর্নমেন্টাল প্যানেল ফর ক্লাইমেট চেঞ্জ’ (আইপিসিসি)- এর এক রিপোর্টে বিশ্ব জুড়ে উষ্ণায়ন সম্পর্কে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়। রিপোর্টে বলা হয়েছে, অদূর ভবিষ্যতে শোচনীয় পরিস্থিতির শিকার হবে বিভিন্ন দেশ। পরিস্থিতি ক্রমশ হাতের বাইরে চলে যাচ্ছে। দ্রুত নিয়ন্ত্রণ করা না হলে অবস্থা আরও ভয়াবহ হয়ে উঠবে।
জানা গেছে, বিশ্ব উষ্ণায়নের ফলে অদূর ভবিষ্যতে রক্ষা পাবেনা এদেশের মেট্রোসিটিগুলিও। কলকাতাতেও প্রভাব পড়বে তার। তীব্র গরমে ম্যালেরিয়া-ডেঙ্গির মত রোগের প্রাদুর্ভাব আরও বাড়বে। ফলে চিন্তা মুক্ত হতে পারছে না রাজ্যবাসী।
কলকাতার গড় তাপমাত্রাও বেড়েছে ১.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস গত ১৫০ বছরে। একইভাবে দিল্লি, মুম্বই ও চেন্নাইয়ের তাপমাত্রাও বেড়েছে। এই অবস্থায় পরিস্থিতির বদল করতে হলে বিজ্ঞানীদের পরামর্শ কৃষি, শিল্প, শক্তিনীতি সহ মানুষের জীবনযাপনেও রাশ টানতে হবে।
গতকালের বৈঠকে এ সব কথা মাথায় রেখেই ওই বিশেষজ্ঞ কমিটির গড়ার পরামর্শ দেন মমতা। সিদ্ধান্ত হয়েছে মুখ্য সচিব মলয় দে’র নেতৃত্বে ওই কমিটি তৈরি হবে। সেই কমিটিতে বিভিন্ন পরিবেশবিদ ছাড়াও সংশ্লিষ্ট দফতরের সচিব, বনবিভাগ, ভূমি, সেচ, মৎস্য, নগরোন্নয়ন ও বিদ্যুৎ দফতরের সচিবরা থাকবেন। দূষণ ঠেকাতে আরও বেশি করে বৃক্ষরোপণ করতে হবে বলে নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। প্রয়োজনে যা যা করণীয় সবরকমের ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।