রাজনীতিতে হারিয়ে যাচ্ছে সৌজন্যবোধ। চলছে ব্যক্তি-কুৎসা, আক্রমণ। এবার এই বিষয়েই ‘জাগো বাংলা’র উৎসব সংখ্যায় কলম ধরেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সম্প্রতি প্রয়াত অটল বিহারী বাজপেয়ীর স্মৃতিচারনাও লিখেছেন। নাম না করে বিঁধেছেন কেন্দ্রের বিজেপি সরকারকে। নজরুল মঞ্চে ‘জাগো বাংলা’র উৎসব সংখ্যা প্রকাশের পাশপাশি বর্ষীয়ান সাংবাদিক মিহির গঙ্গোপাধ্যায়কে জীবনকৃতি সম্মান জানান মুখ্যমন্ত্রী। নিজের লেখা ও সুরারোপিত ৬ টি গানের সিডি অ্যালবাম ‘রৌদ্রছায়া’র আনুষ্ঠানিক প্রকাশও করেন তিনি।
শারোদৎসবের সূচনা পর্বে মমতার বার্তা, ধর্ম যার যার উৎসব সবার। তাঁর মতে, সবাই মিলেমিশে থাকার মধ্যেই উৎসবের সার্থকতা। রাজনৈতিক মহলের মতে, এই বার্তার মধ্যমেই নিজের বিজেপি বিরোধী অবস্থানকে আরও স্পষ্ট করলেন মুখ্যমন্ত্রী। শুধু বক্তৃতায় নয়, পার্থ চট্টোপাধ্যায় সম্পাদিত দলীয় মুখপত্র ‘জাগো বাংলা’র শারদ সংখ্যায় রাজনীতিতে সৌজন্য হারিয়ে যাওয়া নিয়ে আক্ষেপ প্রকাশের মাধ্যমেও বিঁধেছেন বিজেপিকে। ‘সৌজন্য’ শিরোনামের প্রবন্ধে লিখেছেন, যত দিন যাচ্ছে ততই অনুভব হচ্ছে যে, সৌজন্য যেন অস্বাভাবিকভাবে কেমন হারিয়ে যাচ্ছে’। তাঁর মতে, ‘মনে রাখা উচিৎ, রাজনৈতিক আদর্শে মতভেদ থাকলেও ব্যক্তি কুৎসা অথবা ব্যক্তি আক্রমণ করতে নেই’। প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারী বাজপেয়ীর সঙ্গে তাঁর কাজের সম্পর্ক ও ব্যক্তিগত সখ্য নিয়েও স্মৃতিচারনা করেছেন প্রাক্তণ রেলমন্ত্রী মমতা। লিখেছেন, ‘অটলজি কোনওদিনই কোনও অসম্মানজনক কথা আমাদের বলেননি। অনেক কথাই তিনি আমাকে শেয়ার করতেন। যা আজও আমি পাবলিকলি বলব না। কারণ এটা বিশ্বাসের ধর্ম’।
‘জাগো বাংলা’র তরফে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ‘লাইফ টাইম অ্যাচিভমেন্ট’ পুরস্কার তুলে দেন প্রায় ৫৭ বছর সাংবাদিকতার সঙ্গে যুক্ত মিহির গঙ্গোপাধ্যায়কে।