তিন দিনেই সিরিজ পকেটে পুরে নিল ভারত।পরাজয় নয়, ক্যারিবিয়ানরা কার্যত আত্মসমর্পণ করল রাজকোটে। প্রথম টেস্টের তৃতীয় দিনে চা-বিরতির কিছুক্ষণের মধ্যেই ইনিংস ও ২৭২ রানে জয় হাসিল করে নেয় বিরাট কোহলির টিম ইণ্ডিয়া।
এর আগে আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে ইনিংস ও ২৬২ রানে জয় ছিল ভারতের বৃহত্তম। এদিনের জয় তাকে টপকে গেল। একই সঙ্গে এটা ঘরের মাঠে ভারতের ১০০তম টেস্ট জয়।
প্রায়-মৃত ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলের বিরুদ্ধে বিরাট কোহলি অ্যান্ড কোংয়ের দাপট দেখে মৃতদেহও হেসে উঠতে পারে। কিন্তু তাতে ভারতীয় দলের চেতনা জাগবে কিনা বলা মুশকিল। রাজকোটের মাঠকে এমনিতেই ভারতীয় ক্রিকেটে রান সরবরাহের আখড়া হিসাবে ধরা হয়। এই মাঠ বোলারদের ভাগাড়। পেসাররা এই উইকেটে প্রতিটা ডেলিভারির পর কপালের ঘামের সঙ্গে আফসোস ঝাড়েন। স্পিনারদের তো আরও করুণ অবস্থা। ঠিক সেই মাঠে, সেই উইকেটে ভারতের ওয়েস্ট ইন্ডিজ বধ ছিল নেহাতই সময়ের অপেক্ষা। টেস্টের তৃতীয় দিনেই তাই বিজয় মিছিল বের করতে পারলেন বিরাট কোহলিরা।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের প্রথম ইনিংস স্থায়ী হয়েছিল মাত্র ৪৮ ওভার। ১৮১ রানে শেষ হয়ে গিয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজের প্রথম ইনিংস। ফলো অন করে দ্বিতীয় ইনিংসে ৫১ ওভারের বেশি খেলতে পারল না ক্রেগ ব্রেথওয়েটের দল। লাঞ্চের আগেই তাঁদের এক উইকেট পড়ে গিয়েছিল।মধ্যাহ্ন ভোজের বিরতির পর ভারতের স্পিনাররা জয়ের রাস্তা গড়ে দেন। এদিন কুলদীপ যাদব একাই নিলেন পাঁচ উইকেট। অশ্বিন ও জাদেজা দু’টি করে উইকেট নিয়ে ১৯৬ রানে মুড়িয়ে দেয় ওয়েস্ট ইন্ডিজের দ্বিতীয় ইনিংস। কোনও ইনিংসেই দু’শোর গণ্ডি পেরোতে পারল না ক্যারিবিয়ানরা।
নভেম্বরে অস্ট্রেলিয়া সফরের আগে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে এই সিরিজ মহড়ার মতো। টিম ব্লু-র নেতা বিরাট কোহলি নিজে মুখেই বলেছিলেন সে কথা। কিন্তু এই অবস্থায় রাজকোটের উইকেটও ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্যাপ্টেন ব্রেথওয়েটের মতো ভ্যাবলা মুখে চেয়ে। এই মহড়া থেকে আখেরে কী পাবে টিম ইন্ডিয়া! এতে তো অস্ট্রেলিয়া সফরের আগে সামান্য ওয়ার্ম-আপ পর্যন্ত হওয়ার কথা নয়। কিন্তু তার পরও বিরাট কোহলির মুখে চওড়া হাসি। শত হলেও ওয়েস্ট ইন্ডিজ বধ। ভিভ রিচার্ডস, ম্যালকম মার্শাল, ব্রায়ান লারাদের ওয়েস্ট ইন্ডিজ নাই বা হোক। একেবারে নির্বিষ জলঢোরার মতো একটা দল হোক। তবুও জয় তো জয়ই।