আজ বাদে কাল ৮ বছর পূর্ন হত তার। কথা ছিল, কেক কেটে, মোমবাতি জ্বালিয়ে, বন্ধুদের সঙ্গে হইহই করে পালন করা হবে জন্মদিন। ঘর সাজানো হবে বেলুন আর রঙিন কাগজে। ছোট্ট বিভাসকে সাজিয়ে তোলা হবে ফুল চন্দনে। বিভাস সেজেছে ফুল-চন্দনে। তবে জন্মদিনের পোশাকে নয়, মৃত্যু শয্যায়। কোনওরকমে এইকটা কথা বলে কান্নায় ভেঙে পড়লেন ছোট্ট বিভাসের বাবা জন্মেজয় ঘোষ। জন্মদিনের আনন্দ বদলে গেল মৃত্যুর শোকে।
আগামী কাল অর্থাৎ ৫ অক্টোবর শুক্রবার বিভাসের জন্মদিন। তার আগের রাতেই বিভাসের জ্বলে-পুড়ে কুঁকড়ে যাওয়া দেহ নিয়ে আসা হল মন্দিরবাজারের দক্ষিণ বিষ্ণুপুর শ্মশানে। সেখানেই শেষকৃত্য হয় তাঁর। শ্মশানে বিভাসের সেহ আসতেই কান্নায় ভেঙে পড়েন বাবা জন্মেজয়। ছেলের ছোট্ট দেহের ওপর লুটিয়ে পড়েন তিনি। শ্মশানে ভিড় জমিয়েছিলেন এলাকার মানুষেরাও। ছিলেন বিভাসের কাকা দীপেঞ্জয়। গ্রামের মানুষের দাবি ছিল, বিভাসের দেহ একবার আনা হোক তার নিজের বাড়ি মৌলিগ্রামে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তা সম্ভব হয়নি। সরাসরি শ্মশানেই আনা হয় মৃত বিভাসকে।
এলাকার মানুষ থেকে আত্মীয় পরিজন – সবার মুখে তখন শুধুই বিভাস। কয়েকদিন আগেই ছিল তার ছোটকার বিয়ে। সেখানে খুব মজা করেছিল বিভাস। উঠে এল সেইসব গল্পও। ওইসময়েই জন্মদিনের খেলনা গাড়ির আবদার করেছিল বিভাস। সে কথা বলতে গিয়ে ফুঁপিয়ে কেদে উঠলেন কাকা দীপেঞ্জয়। যখন বিভাসের দেহ চিতায় তোলা হল, তখন শ্মশান জুড়ে শুধু হাহাকার। এইটুকু একটা ছেলে, যে হাসি-কান্নায় মাতিয়ে রাখত পাড়াড় সবাইকে, একটু পর থেকে সেই আর ‘নেই’ হয়ে যাবে। একটা দূর্ঘটনা কেড়ে নিল সব। চিতার আগুনের দিকে চেয়ে চোয়াল শক্ত করে জন্মেজয় বললেন, ‘দোষীদের চিহ্নিত করে দ্রুত শাস্তি দিক পুলিশ।