কলকাতা মেডিকেল কলেজে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত নিল রাজ্য সরকার৷ দুর্ঘটনার কারণ জানতে পূর্ত ও দমকল বিভাগ পৃথক পৃথক ভাবে তদন্ত করে নবান্নে রিপোর্ট জমা দেবে৷ আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটিকেও আলাদা ভাবে রিপোর্ট জমা দেওয়ারও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে৷
আজ, বুধবার সকালে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের জরুরি বিভাগের উলটো দিকে একটি ওষুধের দোকানে আগুন লাগে৷ হাসপাতালের নিরাপত্তা কর্মীরা প্রথমে আগুন নেভানোর কাজ শুরু করেন। ঘটনাস্থলে প্রথমে দমকলের চারটি ইঞ্জিন পৌঁছয়। পরে পরিস্থিতির গুরুত্ব বুঝে আরও ছ’টি ইঞ্জিন আনা হয়। কিন্তু তত ক্ষণে গোটা হাসপাতাল চত্বর প্রচণ্ড ধোঁয়াতে ঢেকে যায়।ওষুধের দোকানের শাটার, কাচ ভেঙে ভিতরে ঢুকে আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা চালায় দমকল বাহিনী। আগুনে ভস্মীভূত হয়ে যায় পাঁচ কোটির ওষুধ ও চিকিৎসায় ব্যবহৃত বিভিন্ন সামগ্রী৷ আনুমানিক প্রায় ৮০ শতাংশ ওষুধ নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে৷ ঘটনাস্থলে পৌঁছন দমকলমন্ত্রী তথা মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়। ফার্মেসির পিছন দিকটি খতিয়ে দেখেন তিনি। তাঁর কথায়, ‘হাসপাতালের অগ্নিনির্বাপন ব্যবস্থা যথেষ্ট রয়েছে। হাসপাতাল থেকে জল নিয়েই আগুন নেভানোর চেষ্টা চালানো হচ্ছে’।
সাতসকালে হাসপাতালের অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় রোগী ও পরিজনদের মধ্যে তীব্র আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে৷ হাসপাতাল কর্মীদের তৎপরতায় রোগীদের নিরাপদে নামিয়ে আনা হয়েছে। দমকলের ১০টি ইঞ্জিনের প্রায় চার ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে৷ গোটা ঘটনায় আতঙ্কিত রোগীর আত্মীয়রা ক্ষোভে ফেটে পড়েন।