ফসল উৎপাদনের পর তা বিক্রি করতে কৃষকদের যাতে অসুবিধা না-হয়, সে জন্য রাজ্যের প্রতি ব্লকে কিষান বাজার তৈরি করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ইতিমধ্যে ৬৬ টি কিষান বাজারে প্রতিদিন কেনাবেচার কাজ শুরু হয়েছে। কৃষি বিপণন মন্ত্রী তপন দাশগুপ্ত জানান, আরও কয়েকটি কিষান বাজারে প্রতিদিন কেনাবেচা চালু করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এই সংখ্যা খুব তাড়াতাড়ি ১০০ ছাড়িয়ে যাবে বলে আশা করছেন তিনি।
প্রথম পর্যায়ে ১৮৬ টি কিষান বাজারে কেনাবেচার কাজ শুরু করতে চাইছে সরকার। কৃষি বিপণন মন্ত্রী তপন দাশগুপ্ত-সহ বিভাগের আধিকারিকেরা বিভিন্ন জেলায় ঘুরে ঘুরে কিষান বাজার চালু করার ব্যাপারে সক্রিয় হয়েছেন। পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে এব্যাপারে উদ্যোগী হয়েছেন কৃষি পণ্যের ব্যবসায়ীদের ভেণ্ডার সমিতির কর্মকর্তা তথা রাজ্য সরকারের খাদ্য সামগ্রীর দামের নজরদারির জন্য গঠিত টাস্ক ফোর্সের সদস্য কমল দে। টাস্ক ফোর্সের বিভিন্ন বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী একাধিকবার কিষাণ বাজারগুলি পুরোদমে চালু করার নির্দেশ দিয়েছেন। এবার সেই কাজ শুরু হল।
অস্থায়ী বাজারগুলিতে বিক্রিবাটার উপযুক্ত পরিকাঠামো নেই। সেখানে কিষান বাজারে ঢাকা জায়গায় বেচাকেনা হয়। আলো, জল ও শৌচাগারের ব্যবস্থা রয়েছে। আছে স্থায়ী স্টল। সব থেকে বড় কথা, এখানে কৃষি পণ্য বিক্রি করতে গিয়ে ক্রেতা ও বিক্রেতা কাউকে কোনও পয়সা দিতে হয় না। কিষান বাজারগুলিতে বেশ কিছু স্টলও করা হয়েছে। যারা কৃষি পণ্যের কারবার করেন, এমন কৃষক ও ব্যবসায়ীদের মধ্যে লটারি করে দেওয়া হচ্ছে। এতে ভালো সাড়া মিলেছে। সব মিলিয়ে এবার জোরকদমে শুরু হতে চলেছে কিষান বাজারে কেনাবেচার কাজ।