স্বপ্নার নামে নতুন একটি স্টেডিয়াম গড়তে চলেছে জলপাইগুড়ি জেলা পরিষদ। ১২ বিঘা জমির মধ্যে গড়ে উঠবে সেই স্টেডিয়াম। স্থানীয় ছেলেমেয়েরা যাতে সেখানে খেলাধুলা করতে পারে তার ব্যবস্থা করা হবে। রবিবার জলপাইগুড়ির বারােপেটিয়া নতুনবস গ্রাম পঞ্চায়েতে আয়ােজিত বর্ণাঢ্য এক অনুষ্ঠানে সংবর্ধনা জানানাে হয় সােনার মেয়ে স্বপ্না বর্মনকে। সেখানেই জলপাইগুড়ি জেলা পরিষদের সহ সভাধিপতি দুলাল দেবনাথের উপস্থিতিতে একথা জানান স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান কৃষ্ণ দাস। বলেন, “এই এলাকায় কোনও মাঠ না থাকায় স্বপ্নাকে ২৬ কিলােমিটার যাতায়াত করতে হত। আর যাতে এই সমস্যা না হয়, তাই এই স্টেডিয়াম তৈরি করা হবে। ধাপে ধাপে সেটা বড় করা হবে। স্বপ্না বর্মনের নামেই হবে সেই স্টেডিয়াম। স্বপ্নাকে গ্রামে নতুন বাড়ি তৈরি করে দেওয়ার জন্য পাতকাটা ও বারােপেটিয়া নতুনবস গ্রাম পঞ্চায়েতের পক্ষ থেকে দশ লক্ষ টাকা দেওয়ার কথা ঘােষণা করা হয়। পঞ্চায়েতের পক্ষ থেকে স্বপ্নাকে এক লক্ষ টাকার চেকদেওয়া হয়। স্বপ্নার প্রাথমিক ও কালিয়াগঞ্জ উত্তমেশ্বর হাই স্কুলের পক্ষ থেকেও সংবর্ধনা জানানাে হয়।
বিকেলে স্বপ্নাকে সংবর্ধিত করেন জলপাইগুড়ি প্রেস ক্লাবের সদস্যরা। পরে জলপাইগুড়ি জেলা পুলিসের পক্ষ থেকেও সংবর্ধনা জানানাে হয়। উপস্থিত ছিলেন রাজ্য সশস্ত্র পুলিসের এডিজি রণবীর কুমার-সহ বিভিন্ন পুলিস আধিকারিকরা। অনুষ্ঠানে স্বপ্না জানান, ছােট থেকেই তাঁর লক্ষ্য ছিল ৩ স্টারওয়ালা পুলিস অফিসার হওয়া। এদিন সন্ধ্যায় প্রয়াস হলে অন্য একটি অনুষ্ঠানে জলপাইগুড়ি পুরসভার পক্ষ থেকে স্বপ্নার হাতে দুই লক্ষ টাকার চেক তুলে দেন উপপুরপ্রধান পাপিয়া পাল ও চেয়ারম্যান-ইন-কাউন্সিল সৈকত চ্যাটার্জি। জলপাইগুড়ি জেলা ক্রীড়া সংস্থার পক্ষ থেকেও সংবর্ধনা জানানো হয় স্বপ্নাকে। সোনার তৈরি দুটি পাতা একটি কুড়ির লকেট উপহার হিসেবে তুলে দেওয়া হয়। ছিলেন গৌতম দাস, কুমার দত্ত, পুরজিৎ বক্সিগুপ্ত ও ভােলা মন্ডল-সহ বিভিন্ন কর্তা ব্যক্তিরা। অনুষ্ঠানে স্বপ্নার হাতে রুপাের স্মারক উপহার দিয়ে সংবর্ধিত করলেন জেলা বিদ্যালয় ক্রীড়া সংস্থার সদস্যরা।