বনবিবির গড়ে আবারও দেখা মিলল দক্ষিণরায়ের। সুন্দরবনে বেড়াতে আসা একদল পর্যটকদের ক্যামেরাবন্দী পৃথিবী বিখ্যাত রয়্যাল বেঙ্গল টাইগার। কুলতলির আজমলমারি ৩ জঙ্গলের কাছে মাতলা নদীর ধারে দেখা মিলেছে এই বাঘের। উত্তরবঙ্গের দিক থেকে একদল পর্যটক কলসদ্বীপ, বনি ক্যাম্প ঘুরে বোটে করে কুলতলি বিট অফিসের দিকে আসছিলেন। সেই সময়ই বাঘের দেখা পেয়েছেন তাঁরা। এবং সঙ্গে সঙ্গেই ক্যামেরাবন্দী করে ফেলেছেন তাকে। জানা যায়, বাঘটি নদীর পাড়ে কিছুক্ষণ বিশ্রাম নিয়ে, নদী সাঁতরে খাঁড়ির পাড় হয়ে জঙ্গলের দিকে চলে যায়। প্রায় ৩-৪ মিনিট ধরে দক্ষিণরায়ের ছবি ক্যামেরায় বন্দী হতেই খুশির বাঁধ ভাঙে পর্যটকদের মধ্যে।
পর্যটকদের মুখে হামেশাই শোনা যায়, ভাগ্যে থাকলে বাঘের দেখা মেলে। পুজোর মরশুমের শুরু হতে না হতেই সুন্দরবনে ফের রয়্যাল বেঙ্গল টাইগারের দেখা মেলায় সুন্দরবনের লঞ্চ ও বোট মালিকদের মধ্যেও খুশির হাওয়া। পুজোর পরই জোরদার ভাবে শুরু হয়ে যাবে পর্যটনের মরশুম। আর এবারও সুন্দরবন ভ্রমণে এসে পর্যটকরা নিরাশ হবেন না, তারই ইঙ্গিত মিলেছে বাঘমামার দেখা মেলায়। সুন্দরবন টাইগার প্রজেক্ট ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা বন এলাকা মিলিয়ে বর্তমানে সুন্দরবনে ২৭৬টি বাঘ রয়েছে বলে খবর।
ডিসেম্বর মাসে আবার বাঘের শুনানি শুরু হবে দক্ষিণ ২৪ পরগনা বন দপ্তর এলাকায়। কিন্তু পর্যটকদের এই বাঘ দেখা নিয়ে চিন্তার ভাঁজ পড়েছে বন দপ্তরের কপালে। এই সময় বাঘেদের মিলনের সময়। এই সময় তাদের কোনও রকম অসুবিধা যাতে না হয়, তার জন্য পর্যটকদের গভীর বনে যাওয়া নিষেধ। তাহলে বাঘের এই ছবি তাদের কাছে এল কীভাবে, তা নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। তবে কি বাঘ অপেক্ষাকৃত কম গভীর জঙ্গলে চলে আসছে? এটাই প্রধান চিন্তার কারণ বন দপ্তরের কাছে। বনদপ্তর সূত্রে খবর, বিষয়টি নিয়ে তদন্ত করা হবে এবং দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে দপ্তরের তরফে।