বাংলা চিরকালই মিলনক্ষেত্র। তা সে শিল্পের ক্ষেত্রেই হোক বা সংস্কৃতির। বাঙালি বরাবরই মুক্তমনে ভিন সংস্কৃতিকে গ্রহণ করেছে এবং তাতে আপন মনের মাধুরী মিশিয়ে তৈরী করেছে নতুন কিছু। একইভাবে রসনা নিবৃত্তির ক্ষেত্রেও বিভিন্ন দেশি-বিদেশি পদকে আপন করে নেওয়ায় ভোজনপ্রিয় বাঙালির জুড়ি মেলা ভার। সেই ঐতিহ্যের পথ বেয়েই প্রতিবেশী রাজ্যের ‘গোলগাপ্পা’ ও ‘পানিপুরি’ বাংলায় এসে হয়েছে ফুচকা। পিঠে-পুলি, রসগোল্লা-মিষ্টি দইয়ের মতো ফুচকাও এখন বঙ্গ সংস্কৃতিরই অঙ্গ। সময় যত এগিয়েছে চাহিদার সাথে পাল্লা দিয়ে ফুচকার রকমফেরও বার হয়েছে। উত্তরের ফুচকার সঙ্গে দক্ষিণী ফুচকার লড়াই এখন উত্তর বনাম দক্ষিণ কলকাতার মতোই। প্রাক পুজোর ফুচকা মেলায় তাই দেখার, এখনও উত্তরে ফুচকার প্রতি মানুষের আবেগ ঠিক কতখানি।
কলকাতা পুরসভার ১০ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল সভাপতি প্রসূন ঘোষ, আগামী রবিবার, ৩০ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় আনন্দ লেন ও শ্যামপুকুর স্ট্রিটের সংযোগস্থলে শৈলেন্দ্র সরকার বিদ্যালয়ের সামনে ফুচকা উৎসবের আয়োজন করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, এই ফুচকা উৎসবের উদ্বোধন করতে পারেন রাজ্যের মন্ত্রী শশী পাঁজা। এই উৎসব ঘিরে ইতিমধ্যেই কৌতুহল তৈরি হয়েছে এলাকার মানুষদের মধ্যে। এমনকি পার্শ্ববর্তী অঞ্চলগুলি থেকেও বহু মানুষ আসার ইচ্ছেপ্রকাশ করেছেন।