বাংলায় তৃণমূলকে হারিয়ে বিজেপি-কে হারাতে হবে। এমনই সোনার পাথরবাটি মার্কা তত্ব খাড়া করেছিল সিপিএম। এবার নিজেদের অবস্থান থেকে ৩৬০ ডিগ্রি ঘুরে গেল তারা। এখন রাজ্য সিপিএম নেতৃত্বের মনে হচ্ছে, বাংলায় তৃণমূল এবং বিজেপি একে অপরের পরিপূরক। দুটো দলই রাজ্যে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট করার চক্রান্ত করছে। তাই বিজেপি এবং তৃণমূল বিরোধী ভোটকে এককাট্টা করতে হলে কংগ্রেসেরই হাত ধরতে হবে। দিল্লীতে দলের পলিটব্যুরো বৈঠকে কার্যত এই মর্মেই চিঠি দিল সিপিএমের বঙ্গ ব্রিগেড।
জানা গেছে, কংগ্রেসের হাত না ধরলে কোনও অবস্থাতেই বাংলায় তৃণমূল এবং বিজেপির সঙ্গে টেক্কা দেওয়া সম্ভব নয়, পলিটব্যুরো বৈঠকে দলের কট্টরপন্থী নেতৃত্বকে একথাই বারংবার বুঝিয়েছেন সূর্য, বিমানেরা। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, এথেকে সিপিএমের দেউলিয়া মানসিকতাই প্রকাশ পায়। সাংগঠনিক দিক থেকে তো বটেই, আদর্শগত দিক থেকেও আর কোনও বিশ্বাসের জায়গা নেই সিপিএমের। বাংলায় এখন মাটি চাইছে বিজেপি। এতেই অস্তিত্বের সংকটে ভুগছে সিপিএম। তাই একদিকে পঞ্চায়েতের গদির লোভে রামের সঙ্গে জোট করলেও নিজেদের অস্তিত্ব বাঁচাতে কংগ্রেসকেই শেষ ভরসা মনে করছে তারা। তাই বাংলার সিপিএম নেতৃত্ব এখন এমন সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন। সিপিএমের অন্দরের খবর, কট্টরপন্থী প্রকাশ কারাত লবি এদিনও ভোটে কোনও দলের হাত ধরার থেকে বাম ঐক্য গড়ে লড়াতেই বেশী আগ্রহী।
যদিও এখনও বাংলা সিপিএমের এই মতের পক্ষে সিলমোহর দেয়নি পলিটব্যুরো। বরং তারা কেন্দ্রীয় কমিটির কোর্টে বল ঠেলে দিয়েছে। আগামী ৬ অক্টোবর থেকে তিন দিনের জন্য দিল্লীতে এই ইস্যুতে গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে বসছে দলের সর্বোচ্চ নীতি নির্ধারক কমিটি। পাশপাশি বৈঠকে রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশ, ছত্তিশগড় এবং তেলেঙ্গানার বিধানসভা নির্বাচন এবং আগামী লোকসভা নির্বাচনে দলের রণকৌশল নিয়েও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে।