যুদ্ধকালীন তৎপরতায় কাজ চলছে প্রায় ১ মাস ধরে। ভাঙড়ে জিআইএস বিদ্যুৎ সাব-স্টেশনের ভেতরে মেরামতির কাজ এখন শেষ পর্যায়ে। পুজোর পরেই সাব-স্টেশন সংলগ্ন জমি থেকে ধান কাটার কাজ শেষ হবে। আর তার পরেই ভাঙড়ের নতুনহাটে রাজারহাট-ভাঙড় জিআইএস বিদ্যুৎ সাব-স্টেশনের বাইরের কাজ শুরু হবে। মাছিভাঙা সহ কয়েকটি গ্রামের ওপর দিয়ে টানা হবে ৪০০ কেভির লাইন। মাটির মধ্যে দিয়ে টানা হবে ২২০ কেভির লাইন। ইতিমধ্যেই কয়েকটি পুরনো মেশিন পাল্টে নতুন মেশিন আনা হয়েছে। এ ছাড়া প্রায় দেড় বছর ধরে ব্যবহার না হওয়ার ফলে সাব-স্টেশনের বেশ কিছু যন্ত্রাংশ নষ্ট হয়ে গেছে। কিছু যন্ত্রাংশ পাল্টানো ও কিছুর মেরামতি চলছে। ট্রান্সফর্মার ও জিআইএস রুমের প্ল্যান্টগুলিকেও পরিষ্কার করার কাজ চলছে। পাশাপাশি কড়া নিরাপত্তায় মুড়ে ফেলা হয়েছে বিদ্যুৎ সাব-স্টেশন।
ভাঙড়ে বর্তমানে সিআরপিএফ জওয়ান ছাড়াও নিরাপত্তার দায়িত্বে রয়েছে কাশীপুর থানার পুলিশ। প্রতিদিন আধিকারিক ও বহু কর্মী কাজে আসছেন। পুজোর পরেই সাব-স্টেশনের বাইরে খুঁটি পুঁতে লাইন টানার কাজ শুরু হবে। তার পরে এই জিআইএস বিদ্যুৎ সাব-স্টেশন কাজ শুরু করবে। আলোকোজ্জ্বল হয়ে উঠবে ভাঙড় ও রাজারহাট। এখানকার বিভিন্ন গ্রামের বিদ্যুতের সমস্যার স্থায়ী সমাধান হবে। এখন থেকেই উন্নয়নের আলো দেখার অপেক্ষায় ভাঙড়।