প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী নিজেকে চৌকিদার বলে দাবি করেছিলেন। রাফাল নিয়ে তার পাল্টা দিলেন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী। নিজের লোকসভা কেন্দ্র উত্তরপ্রদেশের আমেঠিতে এক জনসভায় বক্তব্য পেশ করতে গিয়ে রাহুল বলেন, ‘চৌকিদারই এখন চোর’। গরীব মানুষ, শহীদ ও জওয়ানদের পকেট থেকে ২০ হাজার কোটি টাকা নিয়ে দেশের চৌকিদার তা আম্বানির পকেটে ঢুকিয়ে দিয়েছেন’। পাশাপাশি মোদীকে ‘চোরেদের সর্বাধিনায়ক’ তথা কমান্ডার-ইন-থিফ আখ্যা দেন রাহুল।
২ দিনের আমেঠি সফরে এসেছেন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী। দলীয় কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে দলের নীতি সর্বসাধারণের কাছে পৌঁছে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। ভোটে কীভাবে জিততে হবে সেই পরামর্শও দলীয় কর্মীদের দিয়েছেন। আর এখন রাফাল চুক্তি নিয়ে ক্রমাগত সুর চড়াচ্ছেন রাহুল। কর্মকর্তাদের বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী তাঁর চোখের দিকে তাকাতে পারবেন না। ফ্রান্সের প্রাক্তন প্রসিডেন্ট ফ্রাঁসোয়া ওলাঁদ কেন ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে ‘চোর’ বললেন নরেন্দ্র মোদীর থেকে তার জবাবদিহিও চেয়েছেন রাহুল। তাঁর নেতৃত্বে কংগ্রেসের সোশ্যাল মিডিয়া টিমও পূর্ণ উদ্যমে বিজেপি-র বিরুদ্ধে আসরে নেমেছে। তারা বলছে, যারা দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়তে এসেছিল তারাই অনিল আম্বানীকে ৩০, ০০০ কোটি টাকা লাভ করিয়ে দিয়েছে।
কংগ্রেস সভাপতির রাহুল গান্ধীর কথায়, ‘রাফাল চুক্তি, বিজয় মালিয়া, ললিত মোদী, নোট বাতিল, জিএসটি – সবেতেই চুরি করেছেন মোদী। একটা একটা করে আমরা দেখিয়ে দেব প্রধানমন্ত্রী চৌকিদার নয় চোর। এই জামানায় শুধু আনিল আম্বানী, বিজয় মালিয়াদের সুবিধা হয়েছে। কৃষক, গরীব মানুষ কাঁদছেন। দেশের মানুষ রাফাল চুক্তির মূল্য জানতে চান। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী তার জবাব দেবেন না। কারণ, তাঁর কাছে বলার মতো কিছু নেই। তিনি ভাষণ দেন, কিন্তু প্রশ্নের জবাব দেন না’।
অন্যদিকে প্রতিরক্ষামন্ত্রী নির্মলা সীতারামন, অসামরিক বিমান পরিবহণের রাষ্ট্রমন্ত্রী জয়ন্ত সিনহা এবং কেন্দ্রীয় নগরোন্নয়নের রাষ্ট্রমন্ত্রী হরদীপ সিং পুরিরা টুইটারে ‘রাহুল কা পুরা খানদান চোর’ অর্থাৎ ‘রাহুলের পুরো পরিবার চোর’ হ্যাশট্যাগ ব্যবহার করে কুৎসা প্রচারে নেমে পড়েছেন। মোদি মন্ত্রীসভার একাধিক সদস্য রাহুলকে ব্যক্তিগত আক্রমণ করতে ময়দানে নামার পর এদিন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিং ড্যামেজ কন্ট্রোলে নামেন। তাঁর কথায়, ’কংগ্রেস সভাপতির সঙ্গে বিজেপি-র বিরোধ রাজনৈতিক, ব্যক্তিগত নয়।‘