পূর্বপরিকল্পিত কর্মসূচি নবান্ন অভিযান বাতিল করে ২৬ সেপ্টেম্বর রাজ্য জুড়ে ১২ ঘণ্টার বাংলা বনধের ডাক দিয়েছে বিজেপি। কিন্তু তৃণমূলের জামানায় বাংলায় বনধের কোনও প্রশ্নই নেই। মিলান থেকে সাফ জানিয়ে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পাশাপাশি তাঁর দাবি, তিনি বাইরে থাকলে রাজ্যে গণ্ডগোল পাকায় বিজেপি-সিপিএম।
রাজ্যে লগ্নি টানতে ১৩ দিনের বাণিজ্য সফরে গিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু তাঁর বিদেশ যাত্রার পর থেকেই একের পর এক দূর্ঘটনা ঘটে চলেছে রাজ্যে। প্রথমে বাগরী মার্কেট ধ্বংসাত্মক আগুন, পরে স্কুলে উর্দূ শিক্ষক নিয়োগের প্রতিবাদে গুলি লেগে প্রাণ ২ জনের মৃত্যু। এই সব নিয়েই মিলান থেকে কড়া প্রতিক্রিয়া দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বললেন, ‘ছাত্র মেরে এখন বনধের রাজনীতি করছে বিজেপি আর আরএসএস। বিহার-ঝাড়খণ্ড থেকে লোক ঢোকাচ্ছে বাংলায় অশান্তি ছড়াতে। প্রথমে খুন করছে, তারপর খুনের রাজনীতি করছে। এই হত্যার জবাব দিতে হবে বিজেপি-আরএসএস-কে।’
গোটা ঘটনায় সাম্প্রদায়িক ইন্ধন রয়েছে বলে বুঝিয়ে দেন মমতা। মুখ্যমন্ত্রীর কথায়,’সংস্কৃত শিক্ষক গেলে দোষ নেই, উর্দু শিক্ষক গেলে দোষ! এটা সাম্প্রদায়িক।’ ঘটনায় বিজেপি যে রাজনীতি করছে, তা আরও একবার স্পষ্ট করে দেন মুখ্যমন্ত্রী। বলেন, ‘দুই ছাত্র মারা গিয়েছে। এর দায় বিজেপি ও আরএসএস-কে নিতে হবে। প্রতিটি সভায় তাদের নেতারা উস্কানি দিচ্ছেন। ভাড়াটিয়া গুন্ডাদের নিয়ে আসছে ওরা।’ পাশাপাশি শুভবুদ্ধির মানুষের কাছে আবেদন জানিয়ে মমতা বলেন, ‘শান্তিপূর্ণ বনধের মোকাবিলা করুন।’