দাড়িভিট স্কুলে সঙ্ঘর্ষের ঘটনায় উত্তাল রাজ্য রাজনীতি। ২ জনের মৃত্যুতে শোকস্তব্ধ গোটা ইসলামপুর। এর মধ্যেই ঘোলা জলে মাছ ধরতে নেমে পড়ল বাম-রাম শিবির। অভিযোগ, মৃতদের পরিবারকে স্বান্তনা দেওয়ার নামে এলাকায় এসে দফার দফায় সরকার বিরোধী ভাষণ দিয়ে পরিস্থিতি উত্তপ্ত করার চেষ্টা করছেন সিপিএম এবং বিজেপি নেতারা।
ঘটনার পর থেকে একে একে ইসলামপুরে আসেন সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী ও শিলিগুড়ির মেয়র অশোক ভট্টাচার্য। তার কিছুক্ষণের মধ্যে চলে আসেন বিজেপি সাংসদ রূপা গঙ্গোপাধ্যায়ও। আজ রবিবার, উত্তর দিনাজপুরে গিয়ে মৃতদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন বিজেপি নেতা মুকুল রায়, লকেট চট্টোপাধ্যায়-সহ একটি প্রতিনিধি দল। গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যুর ঘটনায় বারবার পুলিশকেই কাঠগড়ায় তোলেন বাম-রাম শিবিরের এইসব নেতা-নেত্রীরা।
মুকুল রায় থেকে লকেট চট্টোপাধ্যায় এক বাক্যে নিশানা করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। ঘটনার সিবিআই তদন্তের দাবি তুলে মুকুল বলেন, ‘রাজ্যকে অশান্ত করে মুখ্যমন্ত্রী বিদেশ ভ্রমণে ব্যস্ত।’ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ‘হিটলার’ বলে কটাক্ষ করেন মুকুল। সাংবাদিকদের বলেন, ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একজন ফ্যাসিস্ট মুখ্যমন্ত্রী। তিনি এ ব্যাপারে জ্যোতি বসুকেও হার মানাবেন।’ মৃতদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার দাবি জানান শিলিগুড়ির অশোক ভট্টাচার্য। সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী ঘটনার বিচারবিভাগীয় তদন্তের দাবি করেন। তদন্তের আগেই পুলিশকে কাঠগড়ায় তুলে দেন বিজেপি নেত্রী রূপা গঙ্গোপাধ্যায়। সাধারণ মানুষকে ভুল বুঝিয়ে সিপিএম এবং বিজেপি নেতারা পরিস্থিতি থেকে রাজনৈতিক ফায়দা তোলার চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ করেন পঞ্চায়েত এবং গ্রামন্নোয়ন প্রতিমন্ত্রী গোলাম রব্বানি। তাঁর কথায়, ‘কীভাবে গুলি চলল, কারা গুলি চালাল, পুলিশ তার তদন্ত করছে। এরমধ্যে বারবার বনধ, অবরোধ আন্দোলন করে জনজীবন বিপর্যস্ত করে তোলার চেষ্টা চালাচ্ছে সিপিএম এবং বিজেপি নেতারা। আসলে বিরোধীরা এটা থেকে রাজনৈতিক ফায়দা তোলার চেষ্টা করছে।’ গোটা ঘটনায় বাম-রাম শিবিরের কোনও গভীর রাজনৈতিক অভিসন্ধি রয়েছে বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।