এশিয়াটিক সিংহ। বিশ্বের বিলুপ্তপ্রায় প্রজাতির মধ্যে অন্যতম। গুজরাটের গির অভয়ারণ্যই হল তাদের চারণভূমি। আর সেখানেই উদ্ধার হল ১১টি সিংহের মৃতদেহ। রাজ্যে একের পর এক সিংহের মৃত্যু বিপাকে ফেলেছে গুজরাট বন দফতরকে। গত ১১দিন ধরেই এই মৃত সিংহগুলির দেহ উদ্ধার করেছেন বনকর্মীরা। প্রাথমিক ভাবে জানানো হয়েছিল, শিকারীদের হাতে নয়, ফুসফুসে সংক্রমণ এবং নিজেদের মধ্যে লড়াইয়ের কারণেই নাকি মৃত্যু হয়েছে সিংহগুলির। এদিকে, কয়েকদিনের মধ্যে একসঙ্গে এতগুলো সিংহের মৃত্যুতে নড়েচড়ে বসেছে প্রশাসন। অবশেষে সিংহ মৃত্যুর ঘটনায় তদন্তের নির্দেশ দিল গুজরাট সরকার।
মনে করা হচ্ছে, মোট ১২টি সিংহের মৃত্যু হয়েছে গিরে। তবে একটির মৃতদেহ এখনও উদ্ধার হয়নি। জানা গিয়েছে, ১১টি সিংহের মধ্যে রয়েছে তিনটি সিংহী, দুটি সিংহ এবং ছ’টি শাবক। ২০০০ সালে এশিয়াটিক প্রজাতির এই সিংহকে ‘বিপন্ন’ বলে ঘোষণা করা হয়েছে। গিরের ১৪০০ বর্গ কিলোমিটার এলাকায় রয়েছে এই সিংহের বাস। পর্যটকদের অন্যতম আকর্ষণ এই এশিয়াটিক সিংহ। অতীতে বহুবার চোরা শিকারীদের খপ্পরে পড়েছে তারা। বিশেষজ্ঞরা তাই বলছেন, সংক্রমণে এক ডজন সিংহের মৃত্যু হয়েছে বলে বিষয়টিকে এড়িয়ে যাওয়া ঠিক হবে না। গুজরাতের রাজ্য বন্যপ্রাণী বোর্ডের সদস্য তথা বন্যপ্রাণী বিশেষজ্ঞ প্রিয়ব্রত গাদভি বলেছেন, ‘সিংহের চারণক্ষেত্রে নজরদারি বাড়াতে হবে। সংক্রমণ ঠেকানোর ব্যবস্থা করতে হবে।’ ২০১৫ সালের তথ্য অনুযায়ী, ৫২১টি এশিয়াটিক সিংহ রয়েছে। এদের মধ্যে ২০১৬ সালে বন্যায় ১০টি সিংহের মৃত্যু হয়েছে।
মৃত সিংহদের দেহ মিলেছে গির অরণ্যের পূর্বাঞ্চলের ডালখানিয়া রেঞ্জে। জানিয়েছেন, গির অরণ্যের(পূর্বাঞ্চল) অধিকর্তা পি পুরুষোত্তম। বুধবার একটি সিংহের মৃতদেহ মেলে আমলেরি জেলার রাজুলাতেও। পাশাপাশি অন্য তিনটি সিংহের দেহ পাওয়া যায় ডালখানিয়া রেঞ্জে। পুরুষোত্তম আরও জানিয়েছেন, মৃত সিংহদের ভিসেরার নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। সেইসব নমুনা পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে জুনাগড়ের পশু হাসপাতালে। সেই রির্পোট আসার অপেক্ষায় রয়েছি।