প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির পদ হারিয়েছেন মাত্র ২৪ ঘণ্টা আগেই। এরমধ্যেই অধীরের পরবর্তী রাজনৈতিক অবস্থান নিয়ে শুরু হয়েছে জোর জল্পনা। ঘোরা-ফেরা করছে হাজারও প্রশ্ন। রাজ্য পার্টির সর্বোচ্চ পদ থেকে সরিয়ে দেওয়ার পরেও কি অধীর এখনও রাহুল গান্ধীর প্রতি সমান অনুগত থাকবেন? এবার কি তবে দলবদল করবেন অধীর? রাজনৈতিক মহলের একাংশের দাবি, বিজেপি-তে যোগ দিচ্ছেন অধীর চৌধুরী। রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের মন্তব্য এই জল্পনাতে ঘি ঢেলেছে। এই প্রসঙ্গে দিলীপ বলেন, ‘আমরা তো অনেককেই বিজেপিতে স্বাগত জানাচ্ছি। অধীরবাবুকে স্বাগত জানাতেও কোনও সমস্যা নেই’।
অন্যদিকে অধীরের পদ খোয়ানোয় ফাঁপরে আলিমুদ্দিন। বাংলায় তৃণমূল বিরোধিতার অন্যতম মুখ ছিলেন অধীর চৌধুরী। গত বিধানসভা ভোটে বাম-কংগ্রেস জোটের পালে হাওয়া না লাগলেও অধীরের সৌজন্যেই তৃণমূল বিরোধিতার রেশ ছিল পুরোমাত্রায়। দিল্লী হাইকম্যাণ্ডের সিদ্ধান্তের জেরে অধীরের ক্ষমতা এখন কার্যত শূন্য। এখন আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে কংগ্রেস আর তৃণমূল জোট বেঁধে বিজেপি-র বিরুদ্ধে লড়াইয়ে নামলে সিপিএমের আম-ছালা দুইই যাবে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। কেননা, সেক্ষেত্রে তৃণমূল বিরোধিতায় ‘হাত’-কে পাশে পাবে না সিপিএম। উল্টোদিকে জাতীয় স্তরে বিজেপি বিরোধী জোটে অন্তর্ভুক্ত হতে গেলে রাজ্যস্তরে সিপিএমের নীতিগত অবস্থান নিয়ে জোরালো প্রশ্নচিহ্ন উঠে যাবে। তাই স্বাভাবিক ভাবে সব মিলিয়ে অধীরের আকস্মিক পদচ্যুতিতে বেকায়দায় রাজ্য সিপিএম।
যদিও প্রদেশ সভাপতি পদে রদবদল কংগ্রেসের আভ্যন্তরীণ বিষয় বলে প্রসঙ্গ এড়িয়ে যান দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুজন চক্রবর্তী। তাঁর কথায়, ‘এ রাজ্যে ধর্মনিরপেক্ষতা-সহ একাধিক ইস্যুতে প্রদেশ কংগ্রেসের সঙ্গে আমাদের বোঝাপড়া ছিল। নেতৃত্ব রদবদলে তাতে প্রভাব পড়বে না’।