সর্বশিক্ষা অভিযানকে সামনে রেখে ঢাকঢোল পিটিয়ে প্রচার চালাচ্ছে কেন্দ্রের বিজেপি সরকার। দিস্তে দিস্তে বিজ্ঞাপণ ছাপানো হয়েছে। বড় বড় হোর্ডিং ব্যানার লাগিয়ে প্রচার চলছে। অথচ দেশের ১৩, ৫১১ টি গ্রামে কোনও স্কুলই নেই। শিক্ষা সেখানে দূর অস্ত। গ্রামোন্নয়ন দপ্তরের সাম্প্রতিক রিপোর্টে উঠে এসেছে এমনই উদ্বেগজনক তথ্য।
এই তথ্য প্রকাশ্যে আসতেই শুরু হয়েছে সমালোচনা। সোশ্যাল মিডিয়ায় নরেন্দ্র মোদীর বিরুদ্ধে শানানো হয়েছে আক্রমণ। প্রধানমন্ত্রী দেশকে ‘ডিজিটাল ইন্ডিয়া’ বানাতে চাইছেন অথচ সেই দেশের বিশাল সংখ্যক গ্রামে কোনও স্কুলই নেই। বিরোধীদের প্রশ্ন, ‘এই তবে আচ্ছে দিন?’
গ্রামোন্নয়ন দপ্তরের রিপোর্ট থেকে জানা গেছে, মিজোরামই একমাত্র রাজ্য যার প্রত্যেকটি গ্রামেই বিদ্যালয় আছে। উত্তর-পূর্বের রাজ্যগুলি এই বিষয়ে অনেকটাই এগিয়ে। ব্যতিক্রম শুধু মেঘালয়। এখানকার ৪১ টি গ্রামে কোনও স্কুল নেই। স্কুল না থাকার তালিকায় সবচেয়ে এগিয়ে উত্তরপ্রদেশ। আবার সারা দেশের মধ্যে গোয়ার কোনও উল্লেখ নেই রিপোর্টে। সব মিলিয়ে বিপদের সম্ভাবনা দেখছেন বিশিষ্টজনেরা।
ন্যাশনাল স্কুল অফ রুরাল ডেভেলপমেন্টের অধ্যাপক এইচ এস সোলাঙ্কির মতে, ‘প্রাথমিকভাবে এই সব গ্রামের মানুষদের চিন্তা-ভাবনায় পরিবর্তন আনতে হবে। অভিভাবকদের মধ্যে সচেতনতা বাড়াতে হবে। তাঁদের বোঝাতে হবে শিক্ষার প্রয়োজনীয়তা’। সিমবায়োসিস ইনস্টিটিউট অফ বিজনেস ম্যানেজমেন্টের (গ্রামীণ উন্নয়ন) রাজেশ পান্ডার কথায়, ‘এই মুহূর্তে প্রতি গ্রামে স্কুল গড়ার ব্যাপারে সরকারের উদ্যোগ নেওয়া উচিৎ। একই সঙ্গে পড়ুয়া এবং অভিভাবকদের স্কুলের উপকারিতা বোঝাতে হবে। তবেই এলাকার বাচ্চাদের মধ্যে স্কুলে যাওয়ার প্রবণতা বাড়বে’।