মনোহর পারিক্করের অসুস্থতার ফলে গোয়ায় সরকার তথা দলের নেতৃত্ব নিয়ে কিছুটা অস্বস্তিতে বিজেপি। সেই পরিস্থিতিতে গোয়ায় সরকার গঠনের দাবি জানিয়ে বিজেপির উপরে আরও চাপ বাড়াল কংগ্রেস। ১৪ জন বিধায়ককে সঙ্গে নিয়ে বিরোধী দলনেতা চন্দ্রকান্ত কাভেলকর সরকারের গঠনের আবেদন জানিয়ে গোয়ার রাজভবনে দুটি স্মারকলিপিও জমা দেন। কিন্তু রাজ্যপাল উপস্থিত না থাকায়, তাঁর সঙ্গে দেখা হয়নি।
৪০ আসনের গোয়া বিধানসভায় বিজেপির হাতে রয়েছে ১৪টি আসন। মহারাষ্ট্র গোমন্তক পার্টি, গোয়া ফরওয়ার্ড পার্টি ও নির্দলদের সমর্থন নিয়ে সরকার গড়েছে তারা। কিন্তু ১৬টি আসন হাতে থাকায় একক বৃহত্তম দল কংগ্রেস। রাজনীতিকদের মতে, গোয়ায় একক বৃহত্তম দল হলেও কিছুটা ভুল চালের ফলে সে রাজ্যে সরকার গড়ার সুযোগ হারিয়েছিল কংগ্রেস।
কংগ্রেস পরিষদীয় দলের নেতা চন্দ্রকান্ত কেভলেকরের বক্তব্য, ‘একক বৃহত্তম দল হিসেবে আমাদেরই আগে সরকার গড়তে ডাকা উচিত ছিল। বর্তমান সরকার কী ভাবে চলছে তা সকলেই দেখতে পাচ্ছেন। বিশেষত গত দেড় বছরে রাজ্যের অবস্থা ক্রমশ খারাপ হয়েছে। শরিক দল, আমলাতন্ত্র-কেউই খুশি নয়। রাজ্যের মানুষের কথা আদৌ ভাবছে না বিজেপি।‘ চন্দ্রকান্তের দাবি, ‘বর্তমান শাসক দলগুলির ক্ষমতার লোভ এত বেশি যে মুখ্যমন্ত্রী অসুস্থ হওয়া সত্ত্বেও অন্য কোনও নেতাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়নি।‘ তাঁর মতে, গোয়াতে পিছনের দরজা দিয়ে রাষ্ট্রপতির শাসন জারি করার চেষ্টাও হতে পারে। সে জন্যই কংগ্রেস বিকল্প সরকার গড়ার দাবি জানিয়েছে। চন্দ্রকান্তের দাবি, তাঁরা প্রয়োজনীয় সংখ্যক বিধায়কের সমর্থন পেয়ে গিয়েছেন।