এথনিক বা ইন্দো-ওয়েস্টার্ন এই দুটি সাজে বেশিরভাগ মহিলাই স্বচ্ছন্দ। তবে এই দুটি সাজই এখন আমাদের রোজকার ফ্যাশনের সঙ্গে ওতপ্রোত ভাবে জড়িয়ে গেছে। তবে উৎসবের দিনগুলোয় যদি এই ধরনের পোশাক বেছে নিতে হয়, তবে তা কেমন হওয়া উচিৎ। ম্যাক্স ফ্যাশন ব্র্যান্ডের ডিজাইন হেড কামাক্ষী কাউলের টিপস হলো “এবারের পুজোয় এথনিক ফ্যাশনের ট্রেন্ড হলো ওল্ড স্কুল চার্ম। তবে একঘেয়ে নয় একেবারেই। বরং উজ্জ্বল রঙ নিয়ে এক্সপেরিমেন্ট করা যায়। কনট্রাস্ট রঙ নিয়েও স্টাইল স্টেটমেন্ট করা যায়। সব মিলিয়ে আপনার সাজ হবে জমকালো কিন্তু অভিজাত”। কামাক্ষীর টিপস অনুযায়ী আমরা বেছে নিলাম এরকমই কিছু এথনিক এবং ইন্দো-ওয়েস্টার্ন পোশাক। উৎসবের দিনগুলোয় আপনারাও এই ধরনের সাজ ট্রাই করতে পারেন।
লাল আর সোনালির এই ব্রোকেড কুর্তিটিতে তেমন এক্সপেরিমেন্ট নজরে পড়বেনা। তবে উৎসবের রাতে এমন একটি পোশাক কখনোই আউট অফ দ্য ফ্যাশন মনে হবেনা। তার সঙ্গে টিম আপ করা হয়েছে মিউটেড গোল্ড অ্যাঙ্কেল লেংথ ফ্লেয়ারড প্যান্টস। তাতে একটা স্মার্ট লুক তৈরি হয়েছে।নিট হেয়ার স্টাইলে টিয়ারার ব্যবহার নজর কাড়ে। ভারী কানের গয়নায় সাজ সম্পূর্ণ। আগাগোড়াই এলিগ্যান্ট ও ক্লাসি ফ্যাশন স্টেটমেন্টের যথার্থ উপমা।
উজ্জ্বল রঙের পোশাক এখন ফ্যাশনে ইন। ইন্দো ওয়েস্টার্ন এই ড্রেস দুটি দেখুন। দুটি পোশাকই পুজোর সকালে দারুণ জমবে। নেকলাইনের কাছে শুধু হালকা সুতোর কাজ। ক্যারি করতে পারলে যেকোনও বয়সে মানাবে ভালো। নীল ড্রেসটির নীচে চওড়া ফ্রিল নজর কাড়ে। তেমনই লাল জামার হাইনেক কলারে পমপম দেওয়া টাসেলের ব্যবহার কোনও অংশে কম যায়না। কোনটা ছেড়ে কোনটা বাছবেন!
আবারও দুটো উজ্জ্বল রঙের সহাবস্থান। মিডনাইট ব্লু রঙের টপ। এবং সর্ষে হলুদ রঙের স্কার্ট। সঙ্গে মানানসই স্কার্ফ। স্কার্ফের ড্রেপিং সিম্পল কিন্তু স্মার্ট। স্কার্ট ও টপ দুটোই জমকালো। দুটোতেই সোনালি রঙের উপস্থিতি। আরও একটা ব্যাপার খেয়াল করুন। এমন জমকালো পোশাকের সঙ্গেই টিম আপ করা হয়েছে ভারী চোকার ও দুল। তার সত্বেও এই সাজকে কোনও মতেই ওভার দি টপ বলা যাবেনা। ভুলে যাবেননা এখন ম্যাক্সিম্যালিস্ট ফ্যাশন ট্রেন্ডের চল। তাই দিল মাঙ্গে মোর হলে কুছ পরোয়া নেই।
একেবারেই আমাদের চেনা আনারকলি। দিনে বা রাতে যেকোনও সময়ে স্বচ্ছন্দে পরা যায়। উজ্জ্বল ফুশিয়া আনারকলিতে আগাগোড়া ভারী কাজ। মাথার ও হাতের গয়না সামগ্রিক সাজে সমতা এসেছে। সবুজ আনারকলিটি তুলনায় সিম্পল হলেও গলায় ভারী চোকারের ব্যবহারে পুরো স্টাইল স্টেটমেন্টটি হয়ে উঠেছে জমকালো।
যদি আপনার একটু বোহো ফ্যাশন স্টেটমেন্ট পছন্দ হয়, তবে এই নীল এ-লাইন আনারকলি আর ফুশিয়া স্কার্টের যুগলবন্দী আপনার ভালো না লেগে যাবেনা। দিনের ফুরফুরে ঘরোয়া আড্ডায় যেমন মানাবে। তেমনই সঠিক অ্যাকসেসরি ও মেকআপের গুণে এই পোশাকে নজর কাড়াটা মোটেই কঠিন ব্যাপার নয়। ফ্ল্যাট মোজরি জুতোয় সাজ সম্পূর্ণ।
স্কার্ট ও টপের ফ্যাশন কোনও দিন পুরনো হওয়ার নয়। সাদা টপের সঙ্গে ফুশিয়া স্কার্ট সব বয়সের জন্য পারফেক্ট। এমনিতেই সাদা রঙের সঙ্গে যেকোনও ব্রাইট শেড ভালো মানায়। অন্যদিকে লাল প্রিন্টেড টপের সঙ্গে ফ্লোরাল প্রিন্টের নীল স্কার্ট। প্রিন্ট অন প্রিন্ট ফ্যাশন স্টেট্মমেন্টে দুরন্ত স্মার্ট। পুজোর সকালে এরকম একটা স্কার্ট টপের জুড়িকে বেছে নেওয়া যায়।
আবারও আনারকলির স্টাইল। তবে স্টাইলাইজ করা হয়েছে ফ্লেয়ারড পালাজো দিয়ে। লাল আনারকলিটি রাতের সাজের জন্য বেছে নেওয়া যেতে পারে। নীল আনারকলিটি দিনে রাতে যেকোনও সময় পরতে পারেন। সঙ্গে মানানসই গয়না ও খোলা চুলের স্টাইল।
নীল এই লং ড্রেসটি পুজোর সকালে কোথাও লং ড্রাইভে যাওয়ার জন্য পারফেক্ট। উপরের দিকে নানা রঙের সুতোর কাজ ও নীচের দিকে ফ্রিলের ব্যবহার পোশাকটি পুজোর ভিড়ে আলাদা করে নজরে আসবে। সিম্পল এবং এলিগ্যান্ট। আবার কোথাও একটা বেপরোয়া মেজাজ। ভারী রুপোর কানের গয়না এই পোশাকের যোগ্য সঙ্গত।
বেজ-সোনালি-লালের পারফেক্ট যুগলবন্দী। লং ফ্লেয়ারড এই গাউনটিতেই উৎসবের জমকালো মেজাজ পুরো মাত্রায় ধরা পড়েছে। সঙ্গে মানানসই দোপাট্টা।নিট হেয়ারস্টাইল। হাতে ও কানে সোনার গয়নায় সম্পূর্ণ হয়েছে সাজ। নবমীর রাতে এইরকম সাজেই উৎসবের শেষ দিনটা সেলিব্রেট করা যেতে পারে।
ছবি সৌজন্যঃ ম্যাক্স ফ্যাশন
জানতে চান কেমন হবে পুজোর স্পেশাল হেয়ার স্টাইল? তাহলে চোখ থাকুক এখন খবরের পুজোর প্রস্তুতির পরের পর্বে।