মিডিয়ার সামনে ‘হ্যান করেঙ্গা ত্যান করেঙ্গা’ বললেও আসামের শিলচর স্টেশনকে আজও ভাষা শহীদ স্টেশনের স্বীকৃতি দেয়নি রেল। বেসরকারিভাবে অবশ্য স্টেশনের সামনে লেখা রয়েছে ‘ভাষা শহীদ স্টেশন, শিলচর’। রয়েছে শহীদদের ছবিও। কিন্তু এসবই বেসরকারি উদ্যোগে। ৫৭ বছর ধরে আজও এতে সরকারি সিলমোহর পড়েনি। বাঙালিদের বঞ্চনা তাই আজও চলছে।
জানা গেছে, ভাষা শহীদ স্টেশনের নামের বানান কী হবে, সেটা আসামের বিজেপি সরকারের কাছে জানতে চেয়েছে রেল। কিন্তু বরাক ও ব্রক্ষ্মপুত্র দিয়ে বহু জল বয়ে গেলেও, নামের বানান এখনও পৌঁছয়নি দিল্লীতে। বরাকের বাসিন্দাদের অভিযোগ, সব বিষয়েই ‘বুড়ো’রাই না-কি এখন ‘মুখ’। তাই শুধু বিবৃতিই হচ্ছে, আন্দোলন নেই। ৬১-র ভাষা আন্দোলনে যে সার্বিক অংশগ্রহণ ছিল, এখন সেটাই হারিয়ে গেছে বরাক থেকে।
আসামের প্রায় ৫২ টি সংগঠন এই নাম বদল নিয়ে আন্দোলন চালাচ্ছে। কিন্তু এতদিনেও কাজ না হওয়ায় প্রশ্ন উঠছে, এটা কি তাদের ব্যর্থতা নয়? শহীদ স্মরণ সমিতির সাধারণ সম্পাদক রাজীব কর তা মানতে নারাজ। তিনি জানান, তাঁদের চাপেই কেন্দ্রীয় সরকার নাম বদলে রাজি হয়েছে। কিন্তু বানানের জন্য তা এখনও আটকে আছে। রেল কর্তাদের বিরোধিতা না থাকলেও স্বীকৃতিটুকুও নেই।
তবে স্থানীয় মানুষ নিজেরাই উদ্যোগী হয়ে শহীদদের সমাধিস্থল বাধিয়ে দিয়েছেন। রয়েছে ভাষা শহীদ স্মৃতিবৃক্ষও। স্টেশনে ঢুকতেই লাগানো হয়েছে ভাষা শহীদ স্টেশনের সাইনবোর্ড। প্ল্যাটফর্মের গায়ে লাগানো হয়েছে ছবি-সহ শহীদদের নাম। এখন এসবে কবে সরকারি সিলমোহর পরবে সেদিকেই তাকিয়ে বরাকবাসী।