সকাল থেকে শুরু হয়েছে কংগ্রেস ও বামেদের ডাকে ধর্মঘট। কলকাতা ও রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় এখনও পর্যন্ত কর্মনাশা বন্ধের কোন প্রভাব পড়েনি।
সরকারি বাস রাস্তায় নেমেছে প্রচুর পরিমাণে। সাথে বেসরকারি বাসের সংখ্যাও যথেষ্ট।
প্রসঙ্গত, আজ বন্ধে রাজ্যে সচল রাখবে সরকার, এমনটাই জানানো হয়েছিল নবান্নের তরফে । বন্ধে যাতে সাধারণ মানুষ অসুবিধায় না পরে তাই অন্যান্য-দিনের তুলনায় ২০ শতাংশ অতিরিক্ত চলছে সরকারি বাস, ট্রাম, লঞ্চ।
সাথেই আজ ‘নাইট সার্ভিস’ চলবে অতিরিক্ত ২ ঘণ্টা- ভোর ৬টা পর্যন্ত।
পথে রয়েছে অতিরিক্ত পুলিসি নজরদারিও। সাথে দেড় হাজার অতিরিক্ত পুলিস মোতায়েন রয়েছে। রাস্তায় ঘুরছে পুলিসের ‘রেডিও ফ্লাইং স্কোয়াড’। এদিকে,লালবাজার কন্ট্রোল রুম নজর রেখেছে বলে জানা গিয়েছে।
বন্ধে মেট্রোরেলে যাত্রী ঢোকা ঠেকাতে অনেক সময় চেষ্টা করেন বন্ধ সমর্থকরা। তাই মেট্রো স্টেশনগুলিতেও রয়েছে বাড়তি নজরদারি। কলকাতার বাজারগুলিতে যাতে প্রয়োজনীয় পণ্য আসতে পারে, সেজন্য রবিবার দিনভর শহরে পণ্যবাহী যান ঢোকানো হয়েছে। সাথেই রাজ্যের অন্য জেলাগুলিতেও পণ্যবাহী ট্রাক ঢোকাতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে ।
এদিকে কলকাতার মতন জেলাগুলোতে জনজীবন সম্পূর্ণ স্বাভাবিক।
কর্মনাশা বন্ধ ব্যর্থ করে, রাজ্যের মানুষ আরও একবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ওপর আস্থা রাখলেন।
সাথেই অপ্রাসঙ্গিক সিপিএম, কংগ্রেসকেও বার্তা দিলেন যে,ধ্বংসাত্মক রাজনীতির জায়গা বাংলার এই মাটিতে আর নেই ।