অ্যালিস্টার কুকই ইংল্যান্ডের সর্বকালের সেরা ব্যাটসম্যান। এমনটাই মনে করেন ইংল্যান্ডেরই প্রাক্তন ওপেনার অ্যান্ড্রু স্ট্রস। তাঁর মতে, গত এক যুগ ধরে ইংরেজ ব্যাটিং লাইন আপের সবচেয়ে প্রভাবশালী ব্যক্তিত্ব অ্যালিস্টার কুক। বলেন, ‘ওর ধারাবাহিকতা বিস্ময়কর। ২০১০ সালে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে অ্যাসেজ সিরিজ জয়ে কুকের অবদান ইংল্যান্ডবাসী কোনওদিন ভুলবে না’।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ২০০৬ সালের মার্চ থেকে পথচলা শুরু করেছিলেন অ্যালিস্টার কুক। ভারতের বিপক্ষে টেস্ট দিয়েই অভিষেক হয় বাঁহাতি এ ব্যাটসম্যানের। এরপর আর পেছনের দিকে ফিরে তাকাতে হয়নি তাকে। ১৬তম ইংলিশ ক্রিকেটার হিসেবে অভিষেক টেস্টে সেঞ্চুরি হাঁকানোর কীর্তি গড়েন তিনি।
প্রসঙ্গত, বর্তমানে ইংল্যান্ড অ্যান্ড ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ডের ডিরেক্টর অ্যান্ড্রু স্ট্রস। ওভালে টেস্ট শুরুর আগে তিনি সব ইংল্যান্ড ক্রিকেটারকে ডেকে নেন। এরপর কুকের মাথায় পরিয়ে দেন ১৬১ লেখা ইংল্যান্ডের ক্যাপ। তাঁকে গার্ড অব অনারও দেয় ইংল্যান্ড দল।
প্রফেশনাল ক্রিকেটার অ্যাসোসিয়েশন কুককে নিয়ে তৈরি করেছিল একটি ভিডিও ফুটেজ। খেলা শুরুর আগে সেটি চালানো হয়েছিল মাঠের জায়ান্ট স্ক্রিণে। ভিডিও-টি দেখে আবেগতাড়িত কুক। বললেন, ‘আমি নস্টালজিক হয়ে পড়ছি। এই সপ্তাহটা কেটে গেলে স্মৃতি রোমন্থন করব। জীবন এগিয়ে যাবে। অনেক বড় ক্রিকেটারের পক্ষে ও বিপক্ষে খেলেছি। সেই স্মৃতি বারবার ফিরে আসবে।’
উল্লেখ্য, ব্যাট-প্যাড তুলে রাখার কথা ঘোষণা করলেও এসেক্স কাউন্টির হয়ে খেলা চালিয়ে যাবেন অ্যালিস্টার কুক। রীতিমতো ঈর্ষা জাগানো পরিসংখ্যান তাঁর। ১৬১টি টেস্টে করেছেন ১২২৫৪ রান। গড় প্রায় ৪৫। এর মধ্যে রয়েছে ৩২টি টেস্ট সেঞ্চুরি।
বিরাট কোহলির মুখেও কুকের প্রশংসা। বললেন, ‘আমরা অনেক স্মরণীয় ইনিংস কুকের ব্যাট থেকে প্রত্যক্ষ করেছি। ইংল্যান্ডের ক্রিকেটে কুকের অবদান অবিস্মরণীয়। আউটস্ট্যান্ডিং ওপেনার বলতে যা বোঝায়, কুক হলেন তাই।’