জল্পনাই সত্যি হল। তেলঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী কে চন্দ্রশেখর রাও বিধানসভা ভেঙে দেওয়ার উদ্যোগ নিলেন। বৃহস্পতিবার মুখ্যমন্ত্রী দেখা করলেন তেলঙ্গানার রাজ্যপাল ইএসএল নরসিমার সঙ্গে। এবং অনুরোধ করলেন তেলঙ্গানা বিধানসভা ভেঙে দেওয়ার জন্য। সেই প্রস্তাব গ্রহণ করেছেন রাজ্যপালও।বৃহস্পতিবার মুখ্যমন্ত্রীর প্রস্তাব পেয়ে রাজ্যপাল ভেঙে দিলেন তেলঙ্গানা বিধানসভা। আগাম রাজ্যে নির্বাচন চেয়েই এই অনুরোধ বলে জানা গিয়েছে। ৬ সংখ্যটি তেলঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী কে চন্দ্রশেখর রাওয়ের পয়া নম্বর। তাই ৬ সেপ্টেম্বর সরকার ভেঙে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি বলে খবর। এর আগেও আগাম নির্বাচনের জন্য সরকার ভেঙে দেওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছিলেন তিনি।
মুখ্যমন্ত্রী কে চন্দ্রশেখর রাও বলেন, ‘আমি খুব শীঘ্রই সিদ্ধান্ত নেব। তারপর জানাবো কি করব টিআরএস পুনরায় নির্বাচিত হলে।’ এই কথা বলেই দক্ষিণের রাজনীতিতে জল্পনা তৈরি করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। ২০১৯ সালের মে মাস পর্যন্ত এই সরকারের মেয়াদ রয়েছে। সেখানে সরকার ভেঙে দিয়ে আগাম নির্বাচনের পরিকল্পনা নিয়ে চর্চা তুঙ্গে উঠেছে। রাজ্যের স্থানীয় সমস্যাগুলি যাতে ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে হাইজ্যাক হয়ে না যায় তাই এই পরিকল্পনা বলে টিআরএস সূত্রে খবর। তাই আগাম নির্বাচন চেয়ে টাটকা ভোটব্যাঙ্ক নিয়ে ক্ষমতায় আসতে চায় তেলঙ্গানা রাষ্ট্রীয় সমিতির সুপ্রিমো কে চন্দ্রশেখর রাও। যদিও রাজ্যপালকে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে, এখনও চূড়ান্ত কোনও সিদ্ধান্ত রাজ্যপাল নেননি বলেই খবর।
তবে তেলঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী আশা করছেন মিজোরাম, মধ্যপ্রদেশ, ছত্তিশগড় এবং রাজস্থান বিধানসভা নির্বাচনের সঙ্গেই নির্বাচন কমিশন তেলঙ্গানাকেও নির্বাচনের অন্তর্ভূক্ত করবেন। চলতি বছরের শেষের দিকেই এই রাজ্যগুলিতে নির্বাচন রয়েছে।