শান্তি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে আজ বৃহস্পতিবার বিকালে আমডাঙায় সভা করবেন যুব তৃণমূলের সর্বভারতীয় সভাপতি সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। উপদ্রুত এলাকাতেও যাওয়ার কথা আছে তাঁর। এর ঠিক আগেই বহিগাছিতে অভিষেকের সভামঞ্চের কাছ থেকে পুলিশ উদ্ধার করল ড্রাম ভর্তি কয়েকশো বোমা। ঘটনার পর থেকে এলাকা জুড়ে তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ। অভিযুক্ত সন্দেহে গ্রেপ্তার করা হয়েছে আজগর আলি, ইমদাদুল-সহ মোট ৩ দুষ্কৃতীকে। এদিনের সভায় অভিষেক ব্যানার্জি ছাড়াও উপস্থিত থাকবেন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম, জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক প্রমুখ।
প্রসঙ্গত, পঞ্চায়েতের বোর্ড গঠনকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল উত্তর ২৪ পরগনার আমডাঙা। অভিযোগ, গ্রামের দখল নিতে সিপিএম মুড়ি-মুড়কির মতো বোমা ফেলে, নির্বিচারে গুলি চালায়। এতে প্রাণ হারান ২ তৃণমূল কর্মী। জখম হন ২২ জন। বহিসগাছি, তাড়াবেরিয়া-সহ চার-পাঁচটি গ্রামের পুরুষেরা ঘর ছাড়তে বাধ্য হন। অশান্তি রুখতে এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়। এরপরেই এলাকায় শান্তি ফেরানোর লক্ষ্যে মিছিল বের করে তৃণমূল। আমডাঙাড় মানুষকে আবার স্বাভাবিক জীবনযাত্রায় ফিরিয়ে আনতে এবং দোষীদের আজ বিকালে সভা করবেন সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
অভিষেকের সভা ঘিরে সকাল থেকেই বহিসগাছিতে সাজো সাজো রব। তৃণমূলের দলীয় পতাকা, ফেস্টুন দিয়ে সাজানো হয়েছে অভিষেকের সভা মঞ্চ। কিন্তু সাংসদের সভাস্থলের কাছ থেকে বোমা উদ্ধার হওয়াইয় নতুন করে আতঙ্ক ছড়িয়েছে এলাকায়। টানা আট দিন ধরে পুলিসের তল্লাশিতে বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে প্রায় তিন হাজার বোমা। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, বহিষগাছি, তাড়াবেরিয়া, বরগাছিয়াতে কুটির শিল্পের মতো তৈরি হত বোমা। দীর্ঘদিন ধরে এই এলাকায় দুষ্কৃতীদের তাণ্ডব চললেও অভিযুক্তদের ধরা যায়নি। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, এখনও এই তিনটি গ্রামের বাগান, খেত, জলাশয় সংলগ্ন জঙ্গলে তল্লাশি চালালে আরও বোমা ও আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার হবে। তৃণমূলের অভিযোগ, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভা বানচাল করতেই ওই বোমা মজুত করেছিল দুষ্কৃতীরা। তাই সভা মঞ্চের কাছে থেকেই ওই বোমা মজুত করা হয়েছিল। অন্যদিকে, আমডাঙা থানার পুলিস জানিয়েছে, নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তায় আমডাঙার তাড়াবেরিয়া গ্রামপঞ্চায়েত এলাকা ঘিরে ফেলা হয়েছে। দুষ্কৃতীদের ধরতে এখনও চলছে চিরুনি তল্লাশি।