ঋণে জর্জরিত এয়ার ইন্ডিয়ার শেয়ার কেনার কোনও ক্রেতা নেই। ফলে ধাক্কা খেল বিলগ্নীকরণের সিদ্ধান্ত। লোকসভা ভোটের আগে এয়ার ইন্ডিয়া নিয়ে এখনই আর এগোতে চাইছে না মোদী সরকার।
সম্প্রতি সংসদীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠকে মন্ত্রকের পেশ করা নোটে বলা হয়েছে, এয়ার ইন্ডিয়ার বিলগ্নীকরণ এখনই হচ্ছে না। বিশেষভাবে উল্লেখ করা হয়েছে, অদূর ভবিষ্যতেও বিলগ্নীকরণ হওয়ার সম্ভাবনা কম। এই সিদ্ধান্ত থেকে স্পষ্ট, আগামী লোকসভা ভোটের আগে এয়ার ইন্ডিয়ার বিলগ্নীকরণ কর্মসূচীকে পিছনের সারিতেই রাখছে কেন্দ্র।
প্রসঙ্গত, বিলগ্নীকরণের সিদ্ধান্ত হয়ে যাওয়ার পর ৩১ মে পর্যন্ত কোনও ক্রেতা না মেলায় বিলগ্নীকরণ নিয়ে বিকল্প পথ সন্ধানের জন্য অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি, বাণিজ্যমন্ত্রী সুরেশ প্রভু, পরিবহণমন্ত্রী নীতিন গডকড়ী এবং রেলমন্ত্রী পীযূষ গোয়েলকে নিয়ে একটি মন্ত্রিগোষ্ঠীর কমিটি গঠন করা হয়েছে। ইতিমধ্যে এই কমিটি কয়েক দফা বৈঠকে বসলেও কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি।
ইতিমধ্যে ৩০ আগস্ট সংসদীয় স্ট্যান্ডিং কমিটির বৈঠক হয়। সেখানে সরকার পক্ষের ১৭ জন সদস্য বিলগ্নীকরণের পক্ষেই মতপোষণ করেন। আর বিরোধী পক্ষের ১৩ জন এমপি বিলগ্নীকরণের বিরুদ্ধে ছিলেন। এই টানাপোড়েন কমিটির বৈঠকের শেষদিন পর্যন্ত ছিল। গত মাসেই কমিটির মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়েছে। আবার নতুন করে কমিটি গঠন করা হবে। তবে বিদায়ী কমিটি এয়ার ইন্ডিয়া নিয়ে কী রিপোর্ট দিয়ে যাবে, তা নিয়ে যথেষ্ট কৌতূহল রয়েছে।
জানা গেছে, এখন সরকারপক্ষের এমপি-রা আগের মতো এয়ার ইন্ডিয়ার বিলগ্নীকরণ ইস্যুতে মরিয়া নন। তাঁরা আরও আলোচনা চাইছেন। কারণ, বিলগ্নীকরণের সিদ্ধান্ত হলেও ক্রেতাই যদি না থাকে, তাহলে তাড়াহুড়ো করে যে লাভ নেই, সেটা তাঁরা বুঝতে পারছেন। চলতি বছরের প্রথমার্ধেই বিলগ্নীকরণ কর্মসূচি সম্পন্ন করা যাবে বলে সরকার মনে করেছিল। কিন্তু এখন যা পরিস্থিতি, গোটা বিষয়টি অনিশ্চিত।