পরের মাসের ১১ তারিখই, তিনি পা দেবেন ৭৬ বছরে। তবু তাঁর স্টারডমে বিন্দুমাত্র-ও ভাটা পড়েনি আজ অব্দি। ঠিক যে কারণে ফরাসি চলচ্চিত্র পরিচালক ও সমালোচক তাঁকে বলেছেন ‘ওয়ান ম্যান ইন্ডাস্ট্রি’। মানুষটির নাম অমিতাভ বচ্চন; ভারতীয় চলচ্চিত্রের চিরকালীন ‘অ্যাংরি ইয়ং ম্যান’। রুপোলি পর্দায় দীর্ঘ ৫০ বছর দাপিয়ে অভিনয় করার পরেও, এই কথাটা বোধহয় একমাত্র তিনিই অকপটে বলতে পারেন, ‘তরুণ প্রজন্ম আমাদের সময়ের থেকে অনেক বেশি তৈরি। রণবীর কাপুর, রাজকুমার রাও, সোনু কি টিটু কি সুইটি ছবির নবাগত কার্তিক আরিয়ান, ভিকি কৌশল, সুশান্ত, বরুণ, কাকে বাদ দেব! আর মহিলা ব্রিগেড তো দারুণ। দীপিকা, আলিয়া, অনুষ্কাদের সঙ্গে অভিনয় করতে তো রীতিমত ভয় পাই। প্রতিমুহূর্তে মনে হয় এই যেন খেয়ে ফেলবে।’ বলিউডের তরুণ প্রজন্মকে এইভাবেই স্বীকৃতি দিলেন বচ্চন। তিনি আরও বলেন, ‘এখন সমাজের সর্বক্ষেত্রে মহিলারা উদাহরণ হয়ে উঠছেন। যেমন আমি কখনও স্বপ্নেও ভাবিনি ওয়াহিদা রহমানের সঙ্গে কাজ করতে পারব। তবে মীনাকুমারীর সাথে কাজ করার সুযোগ হয়নি। নতুনদের কথা তো আগেই বললাম। আমি ভাগ্যবান যে এই প্রজন্মের সাথেও কাজ করতে পারছি। মীনাকুমারী বা সেই সময়ের অনেকেই যে সুযোগটা পেলেন না।’ এই বলেই থামলেন তিনি। ভারতীয়দের মধ্যে আইকনিক হয়ে যাওয়া মানুষটির চোখে, এখনও যেন তারুণ্যের উদ্ভাস।
শীঘ্রই শুরু হতে চলেছে কৌন বনেগা ক্রোরপতির ১০ নম্বর সিজন। মানুষকে কোটিপতি বানানোর স্বপ্নে শামিল করতে আবারও সর্বভারতীয় চ্যানেলে আসছেন বিগ বি। এই শো-এর মূল আকর্ষণ যে সঞ্চালক নিজেই, তা মানতে চান না অমিতাভই। তিনি বলেন, ‘এসবে কান দেবেন না। ১৮ বছর ধরে এই খেলার সাথে যুক্ত থাকতে পেরে আমি ধন্য। ফরম্যাট আর প্রতিযোগীরাই এই শো-এর আসল লাইফলাইন। কয়েক মিনিটেই তাদের জীবন বদলে যায়। আর সেটা উল্টোদিকে বসে অনুভব করা একটা দারুণ অভিজ্ঞতা।’ ফিল্ম এবং সঞ্চালনা যে পুরোটাই আলাদা, সেটাও ব্যাখ্যা করে বুঝিয়ে দিলেন তিনি। বললেন, ‘ফিল্মে কেউ গল্প লেখে, কেউ সংলাপ লেখে, কেউ এসে মুখে রঙ লাগিয়ে দিয়ে যায়, আবার কেউ এসে বলে আপনি এই পর্যন্ত হাঁটবেন, এটা করবেন, ওটা করবেন না। সঞ্চালনার ক্ষেত্রে অত বাধ্যবাধকতা নেই। এখানে যা মনে হয় বলে দিই।’ এ’বছর কৌন বনেগা ক্রোড়পতি- টেন এর ট্যাগ লাইন ‘কব্ তক্ রোকোগে’। বয়সও তেমনই থামাতে পারেননি এখনও তাঁকে। আবারও দর্শকের সামনে ভেসে উঠবে খুব চেনা একটি দৃশ্য; আছে শুধু হটসিট, মুখোমুখি বসিবার অমিতাভ বচ্চন।