পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর কুর্সিতে বসেই দিয়েছেন খরচ কমানোর নিদান। তাই প্রতিদিন গাড়ির বদলে হেলিকপ্টার চড়ে দপ্তরে যাচ্ছেন ইমরান খান। কথায়-কাজে এমন বৈপরীত্যে সোশ্যাল মিডিয়ায় ইমরান এখন হাসির খোরাক। চলছে আলোচনা সমালোচনা আর ব্যঙ্গ। আবার অনেকে বলছেন, খরচ যখন এতই কম তখন সাধারণ মানুষের অফিস যাওয়ার জন্যও কপ্টারই চালু করুন ইমরান।
ইমরানের কপ্টারে চড়ে দপ্তরে আসার যুক্তি দিতে গিয়ে আরও লোক হাসিয়েছেন তাঁর মন্ত্রকের মন্ত্রীরা। তথ্যমন্ত্রী ফওয়াদ চৌধুরি এবং পিটিআই নেতা আলি মোহাম্মদ খানের যুক্তি, সড়কপথে প্রধানমন্ত্রীর কনভয়ে ৫ থেকে ৭টা গাড়ি থাকেই। আকাশপথে সে বালাই নেই। প্রধানমন্ত্রী সচিবালয়ে পৌঁছে যাচ্ছেন মাত্র তিন মিনিটে। আবার সড়কপথে যাচ্ছেন না বলে রাস্তায় অন্য গাড়িকেও দাঁড়াতে হচ্ছে না। ফলে সব দিকেই সাশ্রয়।
পাকিস্তানের বানি গালায় ইমরানের বাসভবন থেকে প্রধানমন্ত্রী সচিবালয়ের দূরত্ব মাত্র ১৫ কিলোমিটার। এইটুকু পথ পাড়ি দিতেই ইমরানকে চড়তে হচ্ছে কপ্টার। একটি আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, অগুস্তা ওয়েস্টল্যান্ডের এডব্লিউ১৩৯ হেলিকপ্টারে চড়েন ইমরান। কপ্টারে এক নটিক্যাল মাইল উড়তে ভারতীয় মুদ্রায় খরচ অন্তত ৯২০০ টাকা। আর আকাশপথে প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন থেকে সচিবালয় ৮ নটিক্যাল মাইল। অর্থাৎ ভারতীয় মুদ্রায় মোট খরচ ৭৩,৬৩৫ টাকা। গাড়িতে কিলোমিটার পিছু ভাড়া ভারতীয় মুদ্রায় সর্বোচ্চ ৩১ টাকা। ফলে কনভয়ে ৭টা গাড়ি থাকলেও তা কপ্টারের খরচের ধারেকাছে আসে না।
এসব দেখে শুনে পাক সেনাবাহিনীর এক অবসরপ্রাপ্ত আধিকারিক বলেন, ‘উড়ানের খরচ ছেড়েই দিন। কপ্টার স্টার্ট করতেই তো লক্ষ টাকা খরচ’।
প্রধানমন্ত্রীকে তাঁর পরামর্শ, ‘খরচ কমাতে চাইলে প্রধানমন্ত্রী বরং ‘জগিং’ করতে করতে সচিবালয়ে যান। প্রথম দিন তো সে ভাবেই অফিসে গিয়েছিলেন’।