নিন্দুকদের বক্তব্য “চা বিড়ি সিগারেটের মতো এও নাকি এক নেশা”, পন্ডিতদের টিপ্পনী “খেলাটা লটারির মতো ফাটকা”, যদিও তাদের মতে টোয়েন্টি টোয়েন্টিতে ব্যাট এর কানায় লেগে ওভার বাউন্ডারি বা ডান দিকে ব্যাট চালিয়ে বা দিকে বাউন্ডারি হওয়া শটগুলো কিন্তু পিওর জিওমেট্রি।
সে যাই হোক, গরম চায়ের কাপে চুমুক দিয়ে ষাট ছুঁই ছুঁই বা ষাটোর্ধ কিছু মানুষের কাছে যা কেবলমাত্র সময় কাটানোর সঙ্গী কিংবা ট্রেনে হৈ হৈ করতে করতে বেড়াতে যাওয়ার সময় কলেজ পড়ুয়াদের এই সেই খেলা যা বিশ্বের দরবারে আজ ভারতকে এনে দিলো গর্ব করে বলার মতো এক ‘স্বর্ণ’ পদক আর দিলো ওই পন্ডিতগুলোর গালে কষিয়ে এক থাপ্পর।
এমনিতে বলা হয় সৌন্দর্যের কোনো মাপকাঠি নেই, ঠিক তেমনই সাফল্যও শুধুমাত্র কাগুজে বই পড়ে ডিগ্রী অর্জন করে, ইঞ্জিনিয়ারিং এ ৮ পয়েন্ট পেয়ে আসেনা ।
কারোর কথায় নয়, কারোর কিছু দেখে নয়, সম্পূর্ণ নিজের ইচ্ছেয়, নিজের যেটা ভালোলাগাকে ঠিকঠাক ঘসা মাজা ভাবে করতে পারলে ইতিহাসের কোনো এক পাতায় নাম থাকবেই।
আর ইতিহাসের পাতায়ই যদি নাম না খোদাই হলো তাহলে গালভরা পদ নিয়ে দশ লক্ষ,বারো লক্ষ, কুড়ি লক্ষ প্যাকেজের চাকরি করে ডেবিট কার্ড বা ক্রেডিট কার্ডের নম্বর বিভিন্ন বার (Bar) এর বিলে ছাপিয়ে কি এমন স্বর্গসুখ !
সোনাজয়ী প্রণব বর্ধন আর শিবনাথ দে কে অনেক অনেক অভিনন্দন স্বপ্ন বাঁচিয়ে রাখবার জন্য।