এবার কন্যাশ্রীদের স্বাবলম্বী করতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিয়ে এলেন ‘স্বপ্নের ভোর’ নামে নতুন প্রকল্প। এই প্রকল্পে কে-টু অর্থাৎ, ১৮ বছর বয়সী মেয়েদের কারিগরি প্রশিক্ষণ দিয়ে নিজের পায়ে দাঁড়াতে সাহায্য করবে রাজ্য সরকার।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মস্তিষ্কপ্রসূত এই প্রকল্পের কাজ শীঘ্রই শুরু হবে বলে জানিয়েছেন নারী, শিশু ও সমাজ কল্যাণ দপ্তরের মন্ত্রী শশী পাঁজা। কারিগরি শিক্ষা দপ্তর এই বিশেষ প্রশিক্ষণ দেবে বলে ঠিক হয়েছে।
বর্তমানে কে-টু উপভোক্তারা ১৮ বয়স সম্পূর্ণ করলেই এককালীন ২৫ হাজার টাকা পান। তার জন্য দু’টি শর্ত রয়েছে। এক, অবিবাহিত হতে হবে, দ্বিতীয়ত, পড়াশুনা চালিয়ে যেতে হবে। এবার পড়াশুনার পাশাপাশি এই কন্যাশ্রীদের কারিগরি শিক্ষা দিয়ে চাকরির উপযুক্ত করে তোলা হবে।
জানা গেছে, প্রশিক্ষণের জন্য নাম নথিভুক্ত করানোর পর তাঁদের কাউন্সেলিং করানো হবে। মেকানিক্যাল বা টেকনিক্যাল বিষয়ে কী কী দিক রয়েছে, কোনটার কী উপকারিতা ইত্যাদি বিষয়ে তাঁদের বোঝানো হবে। তারপর শুরু হবে প্রশিক্ষণ। প্রাথমিকভাবে ৩০০ ঘণ্টার প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে বলে ঠিক হয়েছে। ট্রেনিং চলাকালীন প্রত্যেক উপভোক্তা রোজ ৫০ টাকা করে পাবেন। মন্ত্রী শশীদেবী বলেন, ‘এই সমস্ত কন্যাশ্রী যাতে নিজেদের পায়ে দাঁড়াতে পারেন, তার জন্যই এই বিশেষ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এই কন্যাদের আমরা প্রযুক্তিগতভাবে আরও উন্নত করতে চাইছি’।
কন্যাশ্রীকে যেভাবে মমতা বন্দ্যোপ্যাধ্যায় জনপ্রিয়তার শিখরে নিয়ে গেছেন, তাতে এই নয়া প্রকল্প নতুন মাত্রা যোগ করবে বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।